নামটির মধ্যে দিয়েই গা ছমছমে কিছু কাহিনির রসদ নির্মিত হতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অন্ধকারের মিশেল সাজিয়ে এগিয়ে আসছে ভৌতিক অলৌকিক কিছু কাহিনি, যার সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকলেও অবাস্তবতার মধ্যেও বাস্তবতার এক নব প্রসঙ্গের উন্মেষ ঠিকই পাওয়া যাবে। সেই ভয়ঙ্কর রাতে থাকবে এমনই কিছু গা ছমছমে কাহিনির সম্ভার, যা আপনার শিরা বেয়ে হিমেল রক্তের স্রোত বইয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
এই কাহিনিগুলোর রসদের খোঁজ করতে গিয়ে লেখিকা পাড়ি দিয়েছেন অনেক অজানা ভাবপ্রদেশে। এই ভাবপ্রদেশের হদিস মিলেছে প্রতিটি অনাবৃত কাহিনির মধ্যে দিয়ে। নতুন রূপে জানার ও চেনার পরিসরটিকে প্রস্তুত করেছে এই বইটি। যেখানে রাতের মায়াজালের মধ্যে আবর্তিত হতে দেখা যাবে একাধিক অধরা ও ভয়ঙ্কর ইতিহাসকে, যেটি আমাদের ভৌতিক ও অলৌকিক বিষয়গুলোকে নতুন করে জানতে ও চিন্তে সাহায্য করবে।
চলুন তাহলে পৌঁছে যাই- সেই সকল কাহিনির উদ্দেশ্য অন্বেষণে আর খুঁজে বার করে ফেলি তার অন্দরে লুক্কায়িত থাকা সেই ভয়ের ভয়ঙ্করতাকে!
সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য
সঞ্চারী ভট্টাচার্য। জন্ম ৩রা জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে। ছোটোবেলা থেকেই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন। ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর লেখালেখির বিষয়টির প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নিজস্ব ফেসবুক গ্রæপে লেখালেখি করে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর সাহিত্যের এক নতুন দিক আবিষ্কার করেন তিনি। ভৌতিক গল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জনের পরে ভ‚ততত্ত¡ ম্যাগাজিনে প্রথম লেখার সুযোগ পান। এরপর নিজস্ব ভৌতিক উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় ‘মেহেরুন্নিসা’। খোয়াই পাবলিসিং হাউজ থেকে এই সমাদরটি অর্জনের পর থেমে থাকেননি তিনি। সাঁঝবাতি, সূচনা, শিল্পনীড় সাংস্কৃতিক পত্রিকা, প্রগতি পত্রিকা, বৃত্তের বাইরে, হিয়ার কথা, বইবাড়ি, চন্দ্রপ্রভা, কান্ডারি, রোদের ডানা, বুক রিডার্স পাবলিকেশন, স্টোরি মিরর প্রভৃতি জনপ্রিয় পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখি করেছেন এবং বর্তমানেও করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। অনুরাগীদের ভালোবাসা এবং সমর্থনকেই পাথেয় করে চলতে চান তিনি। প্রতিলিপি অ্যাপেও তিনি একজন টপরেটেড লেখিকা। প্রতিলিপিতে তার পাঠকসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ।