দিকে দিকে যখন শুধুই নস্টালজিয়া, পিছুটানের পরম্পরা আর ইতিহাসজীবি পলায়নপর সাহিত্যিকের সাহিত্য-পসরা, সে সময় 'রঙিলা কিতাব' উপন্যাসটি যেনো সমসাময়িক বাংলাদেশের নগদ-চিত্র! উপন্যাসে পাঠকের সম্মুখে ঘটবে খুন-খারাবি, সোবহান মেয়ার পোলের পাশে লাশের বদলে লাশ ভেসে উঠবে, ক্ষমতালিপ্সু মানুষেরা পথের কাঁটা সরাতে দেরি করবে না। আজকের বাংলাদেশের অদ্ভুত আঁধারের জোনাকি এই ‘রঙিলা কিতাব’। বাংলাদেশ থেকে ভারত, ভারত থেকে নেপাল-দেশান্তরি হয়ে খুনের পাপে ফুল হয়ে ফুটে আছে চরিত্রগুলো পথে-প্রান্তরে। দাবার গুটির চালের মতো ক্ষমতালোভীর রাজনীতির চালে মীমাংসিত হবে জীবন-খেলা। জিতবে বণিক-ব্যবসায়ী। ব্যক্তিস্বার্থ কায়েমে জনগন আজন্ম বোকাসোকা। গল্পে একদম শেষে আচমকা একটা ধেঁড়ে ইঁদুর এসে পড়ে। সেই ইঁদুর মাত্র পাঁচদিনে পুরো শহরের রাজনীতির গল্প বদলে দেয়। এইতো ভারাক্রান্ত স্বপ্নের বাংলাদেশ। গন্তব্য কোথায়? গল্পের মানুষগুলোর জীবন রঙিলা জীবন। আর দশটা সাধারন মানুষের জীবন নয়। এতে আছে চড়াই-উতরাই আর প্রতি মুহূর্তে মরে যাবার ভয়। সাবলীল গদ্যে রঙিলা জীবনে এমন সব গল্পই লিপিবদ্ধ হয়েছে।