মরুভূমির দেশের এক সুপ্রাচীন রাণী আনাইডা, যার হেরেম ভরা ছিল সুদর্শন পুরুষে আর মহলে ছিল লিঙ্গ প্রতিবন্ধী দাসেরা। অন্ধকারের পরম আরাধ্য প্রভুর সাধণায় সমর্পিত ছিল তার জীবন....
চন্দ্র উদিত হবার মাহেন্দ্রক্ষণে মালকিনের বুক চিড়ে দিয়েছিল বহুকালের বিশ্বস্ত ক্রীতদাস সুলাইমান, বুক চিড়ে দিয়েছিল নিজের হাতে আর ছিন্ন করতে চেয়েছিল মস্তক। হ্যাঁ, অভিশপ্ত নগরী থিয়াবিসের আকাশে-বাতাসে আজও ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় প্রাচীন পিশাচিনীর অপার্থিব আর্তনাদ...
কেন অভিশপ্ত এক খঞ্জরে পুঞ্জিভূত হয়েছিল পিশাচ রানী আনাইডার প্রাণ? কেন সেই খঞ্জরকে সমাহিত করা হয়েছিল নীল নদের বুকে???
সহস্র সহস্র বছরের পথ পেরিয়ে আবারো ফিরে এসেছেন রাণী, ফিরে এসেছেন আনাইডা। পুর্নজন্মের পথ পেরিয়ে ফিরে এসেছেন মৃত্যু ও জিঘাংসার বার্তা নিয়ে।
জন্মান্তরকে ফাঁকি দিয়ে তবে কি ফিরে এসেছে সুলাইমানও??? নাকি তার কখনো মৃত্যুই ঘটেনি!
রুমানা বৈশাখী
অনেকে রসিকতা করে বলেন, বয়সকে অতিক্রম করেছেন তিনি তাঁর লেখায়। তিনি রুমানা বৈশাখী । জন্ম ঢাকায়, ১২ মে ১৯৮৫। ঢাকায়ই বেড়ে ওঠা পড়ালেখাও। স্নাতকোত্তর করেছেন রসায়ন বিজ্ঞানে, ইডেন কলেজ থেকে। লেখালেখির সাথে জড়িত দীর্ঘদিন । নেশার বশে শুরু করলেও এই সৃজনশীল পেশাটিকেই অবলম্বন করে বেঁচে আছেন, এই পেশাতেই ক্যারিয়ার গড়েছেন আর সেভাবেই বাঁচতে চান সারাটা জীবন। কাজ করেছেন মাসিক সাহিত্য পত্রিকা আলাে ও ছায়া-র সহকারী সম্পাদক হিসেবে। নারী বিষয়ক পত্রিকা পারিতেও তিনি সহকারী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন প্রিয়.কম-এর এডিটর ইন চার্জ পদে, কাজ করছেন লাইফস্টাইল জার্নালিজম নিয়ে। একই সাথে পরিচালনা করছেন প্রিয় আনসারের মতাে একটি পরামর্শ বিষয়ক ওয়েবসাইট। সাবলীলতা রুমানা বৈশাখীর লেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য রহস্য, রােমাঞ্চ, রম্য, হরর, সায়েন্স ফিকশনসাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই লিখছেন সমান তালে, স্বাচ্ছন্দ্যে। খুব অল্প বয়সেই প্রকাশিত একক বইয়ের সংখ্যাটা বেশ ভারী। সিনেমা ও নাটকের বৈচিত্র্যময় জগতেও পা রেখেছেন আগেই। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে তাঁর লেখা একাধিক নাটক। লিখেছেন শর্ট ফিল্ম। তাঁর জীবনে একটিই মাত্র লক্ষ্য, লিখতে থাকা ও ভালাে লেখার চেষ্টা করে যাওয়া। উল্লেখযােগ্য বই এবং ও অতঃপর, ঋতানৃত, হিপােক্রাট, দুঃস্বপ্নের রাত, পােস্টমর্টেম, বিভীষিকা, সােয়া দুই ফুট, মেঘ লীনা, অতিলৌকিক, বিবর্তন, সন্ধ্যা হয়ে আসে, অহর্নিশ, অবমানব, অবয়ব, শায়াতিন ইত্যাদি।