কৈয়িফত এই উপন্যাসটি সাময়িক পত্রে প্রকাশকালে অনেক আমায় চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন-এটি আমার আত্মজীবনীমূলক বই কিনা। আরও একটি প্রশ্ন, বিনু আমার দেখা চরিত্র কিনা। তাঁদের আলাদা করে উত্তর দিতে পারি না- এখানেই সে কর্তব্য সম্পাদন করছি। আমার জীবন কথা আমার অনেক লেখায় টুকরো কুটরো ভাবে ছড়িয়ে আছে। এখন সে সব কথা আবার লিখতে গেলে পুনরুক্তি দোষ ঘটত। ঘটনার ক্ষেত্রেও তাই, অর্থ্যাৎ এ গ্রন্থ মূলত উপন্যাসই, কল্পনাবহুল। তবে এর মধ্যে আমার দেখা চরিত্র অনেক এছেসে, তার মধ্যে এখনও কেউ কেউ বেঁচে আছেন- কিন্তু একটি ছাড়া কোন চরিত্রই হুবহু আসে নি, কল্পনার রঙে রঞ্জিত, কোথাও বা অতিরঞ্জিত হয়েছে। বিনুকেও চিনি বৈকি! তবে কাগজে প্রকাশকালে লেখাটা কিছু পড়ে সে আমাকে প্রশ্ন করেছিল, এ কি করলে আমাকে নিয়ে। এ তো আমি নই। আমি তাকে বলেছি, তোমার জীবন-বৃত্তান্ত লিখতে তো এ উপন্যাস শুরু করি নি। এ বই আমার-কবির ভাষায়- ‘অর্থেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা’! পরম স্নেহাস্পদ শ্রীমান দিব্যেন্দু মিত্র এই বইটির নামকরণ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তিনি আমার আরও কয়েকটি বইয়ের নাম দিয়েছেন। শ্রীমান মণীশ চক্রবর্তী এই গ্রন্থের পরিকল্পনা থেকে রচনা পর্যন্ত বহু বিষয়ে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করেছেন। তাঁর কাছে আমার এমন ঋণ অনেক। সুতরাং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁর প্রীতিকে ছোট করতে চাই নাই। ইতি লেখক