১৮৯২ সাল। আকাশ-তামাশা দেখানোর জন্য আহসান মঞ্জিলের কাছে বেলুন থেকে প্যারাশুট নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছে অষ্টাদশী শ্বেতাঙ্গিনী মিস ভ্যান ট্যাসেল। উদ্দেশ্য আহসান মঞ্জিলের ছাদে অবতরণ। । হঠাৎ বাতাসের তোড়ে প্যারাশুট ভাসতে ভাসতে রমনার কাছে একটা গাছের উপর পড়লো । গাছ থেকে সরু বাঁশ বেঁয়ে নামতে গিয়ে আকস্মিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটলো মিস ভ্যান ট্যাসেলের। লোকমুখে ছড়িয়ে গেলো এই মৃত্যুতে ঢাকার নবাব আহসানুল্লাহর হাত আছে। মিথ্যা কলংক মোচনের জন্য নবাব আহসানউল্লাহ মিস ভ্যান ট্যাসেলের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব দিলেন সদ্য ইতালি ফেরত নবীন গোয়েন্দা নবনীকে। কিন্তু গোয়েন্দা নবনী যতই রহস্যের গভীরে যাচ্ছে, ততোই বুঝতে পারছে এটা কোন স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। মিস ভ্যান ট্যাসেল যদি সত্যিই খুন হয়ে থাকে, তাহলে প্রকৃত ঘাতক কে? নবাব আহসানউল্লাহ নিজে, নাকি অ্যাক্রোব্যাট রামচন্দ্র, নাকি কোলকাতার উদীয়মান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর? নবনীর প্রেমিক তীব্র কেন রবীন্দ্রনাথকে দুচোখে দেখতে পারে না? আর হাসন রাজার ছেলে গনিয়ুর রাজাই বা কেন বাঘের তাড়া খাওয়া ভয়ার্ত হরিণের মত পালিয়ে বেড়াচ্ছে?