আমাদের সমত রহমান! প্রেমিক নন, একজন শিক্ষক। রহস্য খুঁজে বের করা তার কাজ নয়। অথচ সবসময় আটকে পড়েন ভালোবাসার জটিল সব রহস্যে। হত্যা, খুন, গুম, নিখোঁজ, অপহরণের মতো ভয়াবহ সমস্যাকে সমাধান করে ফেলেন নিজের অজান্তেই। মিসির আলি কিংবা মাসুদ রানা, কিরিটী রায় অথবা ফেলুদা, বাংলা সাহিত্যের চিরায়ত এইসব চরিত্রের-ই একজন এই সমত রহমান।
মানুষ ভালোবাসতে চায়। ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেতে চায়। ধরে রাখতে চায়। আজীবন। আমরন। জনম জনম। হোক তা যত জটিলতার, হোক তা যত রহস্যের। সর্বস্ব বিলিয়ে হলেও সে চায়, তার প্রিয়জন তাকে নিশীথ রাতের বাদলধারার মত অবিরত ভালোবাসুক। অতি গোপনে। একান্ত সংগোপনে।
তৌহিদুর রহমান
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। বাবা এম.এ. মজিদ সরকার, মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বােনের মধ্যে সবার ছােট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। বিচরণ লেখক হিসেবে। স্বপ্ন দেখেন দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। কুড়িগ্রাম জেলার নিভৃত গ্রাম মধুপুরের আপন আঙিনায় তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার।
লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে । উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, ছড়া, ছাপা হতাে বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় দৈনিকে। লেখক হিসেবে প্রাপ্ত পদকগুলাের মধ্যে বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, দেওয়ান হাছনরাজা, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখ্য। উল্লেখযােগ্য প্রাপ্ত সম্মাননা: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, ইউনাইটেড টেলিফিল্ম, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার।
উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করলেও কবিতা, ছােটগল্প, শিশু-কিশাের সাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।