কাহিনী সংক্ষেপ: অন্ধকার রাতে রাকিব আর আকাশ দেখতে পায় একটা ক্লাসরম্নমে লাইট জ্বলছে, ফ্যান ঘুরছে। কিন্তু এতোরাতে কেন ক্লাসে লাইট-ফ্যান চলবে? লাইট-ফ্যানের রহস্য উদঘাটনের জন্যে অভিযানে নামে রাকিবসহ তার একদল বন্ধু। এরমধ্যে আবু বকর ভাই সেই ক্লাসরম্নমে লাশ বহনের খাটিয়া দেখতে পান। একটা লাশও ছিল খাটিয়ায়। রহস্যময় সেই ক্লাসরম্নমের ফ্যানে একদিন একটা লাশ ঝুলতে দেখেন নাজমুল ভাই। কেন ক্লাসরম্নমকে ঘিরে এতো এতো রহস্য? একদিন রাকিবরা নাজমুল ভাইয়ের বালিশের নিচে দেখতে পায় একটা পিস্ত্মল। এদিকে আবু বকর ভাই রাকিবদের কাছে ফাঁস করেন একটা গোপন কথা। কী সেই গোপন কথা? তার কথা শুনে কি রাকিবরা ক্লাসরম্নমের রহস্য উদঘাটন করতে পারবে?
সুব্রত বড়ুয়া
সুব্রত বড়ুয়ার জন্ম বিগত শতকের চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ছিলােনীয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত বৌদ্ধ পরিবারে। তার পিতার নাম অন্নদাচরণ বড়ুয়া ও মায়ের নাম সরােজিনী বড়ুয়া। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবনের সূচনা; পরে চট্টগ্রাম শহরে এসে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল থেকে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে পড়াশুনা করেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে। ১৯৬৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএসসি এবং ১৯৬৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময়ই সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ জন্মে। সে সময় দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। কর্মজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম শহরস্থ সেন্ট প্লাসিডস হাই স্কুলে বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হিসেবে ১৯৬৯ সালে। সে বছরই ডিসেম্বর মাসে যােগ দেন রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। এক বছর পর ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে যােগ দেন ঢাকাস্থ বাংলা একাডেমিতে। দীর্ঘ ৩২ বছর বাংলা একাডেমিতে চাকরি করার পর ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।