ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আধুনিক বাংলাসাহিত্যের শাশ্বত রূপ এবং তার স্রষ্টাকুলের শৈল্পিক অভিলক্ষ্য গ্রন্থভুক্ত সাঁইত্রিশটি প্রবন্ধকে একসূত্রে গ্রথিত করেছে। নির্মাণশৈলীর অনন্যতা এবং ক্রমান্বয়ে ‘তিমির-বিদার উদার অভ্যুদয়’ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সঞ্জয় ভট্টাচার্য হয়ে এসে ঠেকেছে আমাদের গৌরব ‘শুভ্র সমুজ্জ্বল শামসুর রাহমান’-এ। অন্তবর্তী অবস্থানে ঠাঁই করে নিয়েছেন হুমায়ুন কবির, রশীদ করিম, সিকদার আমিনুল কবির, রশীদ করিম, সিকদার আমিনুল হক, আবুল আহসান চৌধুরী প্রমুখ যশশ্বান সাহিত্যপ্রতিভা এবং তাঁদের আলোকবিচ্ছুরণ। দার্শনিক হিসেবে ইকবাল যেভাবে অবস্থান লাভ করেছেন, বাংলার নবজাগরণের দিশারী হিসেবে বিদ্যাসাগরও তেমনি স্বাতন্ত্র্য দীপ্যমান। এতসব থেকে আপন হয়ে এসেছে ৩৬শে মার্চ এবং তার সঙ্গে স্বমহিমায় ভাস্বর ‘আমাদের নববর্ষ’। ‘সংবাদপত্রের দৌত্য’ এবং ‘বাংলা কবিতার বৈজয়িক বৈজয়ন্তী তাঁর হাতে’ কোনটাই আলোচনা থেকে বাদ পড়েনি। কায়সুল হকের কাছে সব থেকে আপনার ‘শামসুর রাহমান : সাহস ও সততার প্রতিকৃতি’ রূপে।