ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ তুষার-ঝরা এক শীতের রাতে গ্রামের পান্থশালায় এসে ওঠে এক আগন্তুক। তার আচার-আচরণ দেখে সন্দেহ জাগে পান্থশালার মালিকের মনে। লোকটি সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বেঁধে চলে কেন? নিজেকে আড়াল করবার এত চেষ্টা কেন তার? কোনো অপরাধী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে না তো? লোকটিকে নিয়ে গ্রামবাসীরাও মেতে ওঠে তুমুল আলোচনায়। অবশেষ সব আড়াল সরিয় আত্মপ্রকাশ করে লোকটি। সে একজন অদৃশ্য মানুষ! সাড়া পড়ে যায় পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে। রহস্যময় এই মানুষটিকে নিয়ে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
এইচ. জি. ওয়েলস
এইচ. জি. ওয়েলস্ (হারবার্ট জর্জ ওয়েলস্) ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ করেন বিপুল জনপ্রিয়তা। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য টাইম মেশিন সাড়া ফেলে দিয়েছিল চারদিকে। এইচ. জি. ওয়েলস কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের আরেক দিকপাল জুলভার্নের মতাে সায়েন্স ফ্যান্টাসী রচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ছিলেন না। তিনি তাঁর দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসে এ জাতীয় যন্ত্র তৈরির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা জুলভার্নের কোনাে রচনাতেই পাওয়া যায় না। জীবনের প্রথমলগ্নে বেশ কিছু নারীঘটিত কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই খ্যাতিমান কল্পবিজ্ঞান লেখক। তাঁর লেখা দ্য টাইম মেশিন ছাড়াও আরাে কয়েকটি চমকপ্রদ উপন্যাস হলাে 'দ্য ইনভিজিবল ম্যান, ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডক্টর মােরাে, ‘গ্রহযুদ্ধ, স্লিপার অ্যাওয়াকস, ‘দ্য লর্ড অব ডায়নামাস,' 'ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন' ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে বেশ কয়টি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান এই প্রবাদপ্রতিম কল্পবিজ্ঞান লেখক। অনুবাদক : সালেহা চৌধুরীর এবারের অনুবাদ এইচ. জি. ওয়েলসের অদৃশ্য মানব। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা পঞ্চাশের মতাে। অনুবাদ করেছেন দশটি গ্রন্থ। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, সব বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে। লন্ডনে স্কুলে পড়াতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। সৃষ্টিশীল সাতিহ্যিক বলে। অনুবাদেও এই সৃষ্টিশীলতা বর্তমান।