‘আত্মঘাতী বাঙালী’ বইয়ের সূচীপত্রঃ গ্রন্থকারের নিবেদন ৯ প্রথম খণ্ডের উপক্ৰমণিকা ১৩ প্ৰথম অধ্যায়: বাঙালীর পুনর্জন্ম ১৫ দ্বিতীয় অধ্যায়: নবজাগরণের পূর্বাবস্থা ২৩ -দ্বিতীয় অধ্যায়ের পরিশিষ্ট ২৯ তৃতীয় অধ্যায়: ইংরেজী ভাষার প্রচার ও প্রসার ৩৪ চতুর্থ অধ্যায়: ইংরেজী শিক্ষার ফল ৪৪ পঞ্চম অধ্যায়: বিবাহ, দাম্পত্যজীবন ও প্রেম ৫৭ -বিবাহের আনুষ্ঠানিক রূপ ৫৭ -দাম্পত্যজীবন ও পত্নীর প্রতি স্নেহ ৬১ -প্রেম ও দাম্পত্যজীবনে প্রেমের স্থান ৭১ ষষ্ঠ অধ্যায়: প্ৰেম-ঘরে ও বাহিরে ৮৬ -বিবাহের নুতনি বয়স ৮৬ -কিশোরীর প্রেম ৮৯ -সম্বন্ধের বিবাহ ও উত্তররাগ ১০২ -অসতীত্বঃ পুরাতন ও নুতন ১১৫ সপ্তম অধ্যায়: নারীর সন্ধানে ১৩০ অষ্টম অধ্যায়: চরিত্রবল ও ঈশ্বরপ্রেম ১৫৮ -চারিত্রিক উন্নতি ১৫৯ -ঈশ্বরপ্রেম ১৬৫ নবম অধ্যায়: কল্পনা না সত্য ১৮৩ দশম অধ্যায়: বাঙালীর জাতীয় অদৃষ্ট ১৯৫
নীরদচন্দ্র চৌধুরী
নীরদচন্দ্র চৌধুরীর জন্ম-১৮৯৭, মৃত্যু-১৯৯৯। পন্ডিত ও লেখক। জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের কিশােরগঞ্জ জেলায়। নীরদ সি চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত নীরদচন্দ্র তার। ক্ষুরধার লেখনীর জন্য বিশেষত বিদেশে নন্দিত ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপনের পর তিনি সরকারি চাকুরে হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অতঃপর তিনি বেতার ঘােষক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে আকাশবাণীতে কাজ করার জন্য ১৯৪২ সালে দিল্লি যান। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহচর নীরদচন্দ্র কলকাতায় থাকাকালে কিছুদিন শরৎচন্দ্র বসুর সচিব হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি তার প্রথম গ্রন্থ ‘দি অটোবায়ােগ্রাফি অব অ্যান আননােন ইন্ডিয়ান। প্রকাশ করেন, যা তাঁকে সর্বাধিক খ্যাতি এনে দেয়। ভারতে অটোবায়ােগ্রাফি গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে সমালােচিত হলেও এর কারণেই ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (BBC) নীরদচন্দ্রকে ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ড সফরের আমন্ত্রণ জানায়।
তার এই সফরকে ভিত্তি করেই তিনি রচনা করেন এ প্যাসেজ টু ইংল্যান্ড' গ্রন্থটি। এতে তিনি বিটিশ। জীবন-যাপন পদ্ধতি এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি ও সভ্যতার। ভূয়সী প্রশংসা করেন। ১৯৭০ সাল থেকে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে তিনি স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন। নীরদ চৌধুরী তার অটোবায়ােগ্রাফি গ্রন্থটি ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্মরণে উৎসর্গ করেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে। ভারতবর্ষের জনগণ প্রজার খেতাব পেলেও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পায়নি। তাই নীরদ চৌধুরীর উপরিউক্ত গ্রন্থে। ‘আমি ব্রিটিশ নাগরিক Civis Britannicus sum এই উক্তিকে প্রায় প্রত্যেক সমালােচকই চ্যালেঞ্জ করেন। নীরদ চৌধুরী তাঁর লেখনীতে ভারতবর্ষের যা কিছু ভাল, যা এ দেশের মানুষের জীবন-পদ্ধতিকে উন্নত করেছে, জীবনধারায় গতি এনেছে বা প্রগতিকে দ্রুততর করেছে, তার সবকিছুকেই ব্রিটিশ শাসনের সুফল বলে দাবি। করেন। ব্রিটিশদের প্রতি এই অনুরাগ ও প্রশংসা তাকে ভারতীয়দের কাছে বিতর্কিত এবং অপ্রিয় করে তােলে।