বাংলাদেশের নারী অধস্তন ও পুরুষের অধীননস্ত এ কথা আর নতুন নয়। তার এই অধস্তনতা প্রত্যাহিক জীবনেই প্রকাশিত । যা বোঝা জরুরি তা হলো নারীর অধস্তনতার চেহারাটি কেমন এবং সমাজে পুরুষতন্ত্রের যে আধিপত্য আমরা দেখতে পাই তা কিভাবে বহাল থাকে। এই গ্রন্থে সংকলিত নয়টি প্রবন্ধে লেখকরা এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তথ্য ও তত্ত্বে সমৃদ্ধ এসব লেখায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশের নারীর অধস্তনতা কিভাবে সম্পদের অসম বন্টন, পুরুষসৃষ্ট আইন, ধর্ম ও ঐতিহ্য দ্বারা উৎপাদিত ও পুনরুৎপাদিত হয়। পরিসরের দিক থেকে সংকলিত প্রবন্ধগুলো বিভক্ত তিন ভাগে : গণমাধ্যম, ভাবাদর্শ ও পরিবেশ। বাংলাদেশের সমাবেশ দেখিতে পাইয়াছি। এই সত্য কেবল সত্যবাদিতা নহে। ইহা যেমন বাক্যে তেমনি চিন্তাতেও । ইহা কেবল আমাদের উপলক্ষিত আপেক্ষিত সত্য নহে, পরন্ত তাহা চিরন্তন সত্য, শাশ্বত সত্য, পরম সত্য। অর্থ্যাৎ তাহা পরমেশ্বর।’ -মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী
আলী রীয়াজ
আলী রীয়াজের পরিচিতি গবেষক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে, কিন্তু সত্তরের দশকে লেখক জীবনের শুরু থেকেই তিনি কবিতাচর্চা করেন। তাঁর কবিতার সঙ্গে পাঠকের নতুন করে পরিচয় ঘটে ২০১৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতার বই, আমি নেই আমার না থাকা আছে প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। আলী রীয়াজ বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। এখন তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর।