ই-কমার্স বাংলাদেশে বেশ নতুন একটি ইন্ডাস্ট্রি; তবে এটি খুব দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এটি কেবল ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বরং সারা দেশের সব জেলা থেকেই বিপুলসংখ্যক তরুন-তরুণী, ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রি করছেন। কিন্তু তাদের কথা এখন পর্যন্ত শিল্প-সাহিত্যে তেমনভাবে উঠে আসেনি; বরং ই-কমার্স বলতেই আমরা বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি, বড় বড় কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রির লিডারদের কথা মিডিয়াতে শুধু দেখি। তাই রাহিতুল ভাইয়ের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা সাধারণ মানুষের জীবনকে এভাবে তুলে ধরা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
অনলাইনে ব্যবসা করা যে শুধু টাকাপয়সার হিসেব করা, কতগুলো অর্ডার এল, ডেলিভারি ঠিকমতো হলো কি না, এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে এর যে মানবিক দিক আছে তা ফুটিয়ে তোলার জন্য লেখককে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে। রাকিবের মতো হাজারো তরুণ-তরুণী এখন চাকরির চিন্তা ও চেষ্টা বাদ দিয়ে অনলাইনে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছেন। সংগ্রাম করে রাকিবরা শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়; বরং দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত তৈরি করছে ডিজিটাল যুগে।
রাজিব আহমেদ
প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সভাপতি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)
রাহিতুল ইসলাম
রাহিতুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।