ভৌতিক আতঙ্ক এর সংকলনের কথা ভূতের ধারনা আদিমকাল থেকেই চিরন্তন। মানুষ যতদিন ছিল, আছে ও থাকবে ভূতের অস্তত্বও একইভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে। পরাবাস্তব আমাদের মনের অন্ধকারে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের ভাবনায়, রক্তের চঞ্চলতায় সদাই বর্তমান। আমাদের মানসিক ভাবনাই এইসব অলৌকিক কাহিনীর সৃষ্টি করেছে। কারণ আমরা ভয় পেতে ভালবাসি। তাই বহু অলৌকিক কাহিনী লেখা হয়, ছাপাও হয়। কিন্তু এই সংকলন একটু অন্যরকম। বাংলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগের কিছু মণিমুক্তা, পুরনাে পত্রিকার পাতা থেকে সংগ্ৰহ করা হয়েছে যেগুলি এতদিন কোনও অলৌকিক কাহিনী সংকলনে অগ্রস্থিত ছিল। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাঠক যেন কোনওভাবেই নিজেকে বঞ্চিত বোধ না করেন। এই সংকলনে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অলৌকিক কাহিনীটি আমাদের কাছে এক পরম প্ৰাপ্তি কারণ এখনও অবধি এই গল্পটি তার ‘গল্প সমগ্র’তে অগ্রস্থিত রয়েছে। প্রধানতঃ বাংলা সাহিত্যের প্রতিনিধিত্বমূলক সফল অলৌকিক কাহিনীকারদের গল্পই এখানে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও অনিবাৰ্য কারনবশতঃ যেসব লেখা এখানে রাখা গেল না তার দাষে সম্পূর্ণ আমাদের। সদ্যপ্রয়াত সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের এই অগ্রস্থিত অলৌকিক কাহিনীটি তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। এই সংকলন প্রস্তুত করতে গিয়ে বালি শিশু সমিতি গ্রন্থাগার ও সমর স্মৃতি পাঠাগার দুটি গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিকদের কাছেই যে অকৃপণ সাহায্য পেয়েছি তার জন্য র্তাদের আন্তরিক কৃতঞ্জতা জানাই। মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্সের শ্ৰী পন্টু দত্তের উদ্যোগে ছিল এই সংকলনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক। তার কাছে এই ঋণ অপরিশোধ্য। অলিমিতি বিস্তরেণ। ভৌতিক আতঙ্ক এর সূচীপত্র: * সোনা করা যাদুকর – বিভূতীভূষণ বন্দ্যেপাধ্যায় – ৯* হানাবাড়ীর খপ্পরে – বীরেন্দ্রকৃষ্ণ- ১৮* ভূতেদের বিশ্বাস নেই – প্রমেন্দ্র মিত্র- ৩০* সন্ন্যাসী রাজার গড়- মনোজ বসু- ৩৭* ঘরোয়া ভূত – শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় – ৪৫* লোকান্তরের হাতছানি – নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় – ৫১* মারাত্মক ঘড়ি – প্রমথনাথ বিশা – ৫৭* অজন্তার আত্মা – গজেন্দ্রকুমার মিত্র – ৬৩* প্লানচেট – আশাপূর্ণ দেবী – ৭২* অপদেবতা – সুমথনাথ ঘোষ – ৮১* ফাসির আসামী – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় – ৮৮* জ্যান্ত ভূতের গল্প – বিমল মিত্র – ৯৬* দুই বেচারা – শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যেপাধ্যায় – ১০১* অশরীরী আতঙ্ক – নীহাররঞ্জন গুপ্ত – ১১৯* একটি বিজ্ঞানসম্মত ভৌতিক গল্প- নারায়ণ সান্যাল – ১৫৩* প্রতিমা – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – ১৬১* ইহকাল পরকাল – সমরেশ মজুমদার - ১৭২
মনোজ বসু
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ
জন্ম ১৪ অক্টোবর, ১৯৩০। মুর্শিদাবাদ জেলার খােশবাসপুর গ্রামে। কবিতা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু। পাঁচের দশকের শেষে গল্প-উপন্যাসে হাত দেন। ছােটদের জন্যও প্রচুর লিখেছেন। ভূত, গােয়েন্দা, অ্যাডভেঞ্চার তার প্রিয় বিষয়। তাঁর সৃষ্ট কর্নেল’ চরিত্রটি সববয়সি পাঠকের কাছে সমান জনপ্রিয়। প্রাক্তন মিলিটারি কর্নেল যেখানে অদ্ভুতুড়ে রহস্যের গন্ধ, সেখানেই হাজির এবং সবশেষে তীক্ষ্ণ বুদ্ধির শাণিত ছুরিতে রহস্যজাল উন্মােচন। ভুয়ালকা পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। পেয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস পুরস্কার। এছাড়া ২০১০ সালে কিশাের সাহিত্যে বিদ্যাসাগর পুরস্কার, বিভূতিভূষণ। স্মৃতি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, দীনেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার...ইত্যাদি। পত্র ভারতী থেকে প্রকাশিত বই ভৌতিক গল্পসমগ্র, কিশাের কল্পবিজ্ঞান সমগ্র, পাঁচটি প্রেমের উপন্যাস, পাঁচটি রহস্য উপন্যাস, কর্নেলের পাঁচ রহস্য, একডজন কর্নেল, কর্নেলের আরও একডজন প্রভৃতি। প্রয়াণ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২।
সুমথনাথ ঘোষ
শ্রী প্রমথনাথ বিশী
শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
সমরেশ মজুমদার
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪।
তাঁর শৈশব এবং কৈশাের কেটেছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বাগানে। লেখাপড়ায় মন বসতাে না একদমই। ইচ্ছে ছিল নায়ক হবেন। তাই জলপাইগুড়ির বন্ধুদের নিয়ে সাজাতেন নাটকের দল। বাজারের জন্য দিদিমার দেয়া টাকা বাঁচিয়ে তাও খরচ করতেন বন্ধুদের নিয়ে। ষােলাে বছরের এক তরুণ সমরেশ কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। ভর্তি হন স্কটিশ চার্চ কলেজে, বাংলায়। এখানেও শুরু হলাে থিয়েটার আর নাটক লেখা, গল্প লেখার কাজ। নাটক লিখলেও নাটক হতাে না। অভিনয়ও জমছে না ঠিকমতাে। ততদিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাসের সার্টিফিকেট জুটলাে কপালে। কিন্তু নায়ক হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলাে না। এবার নাটক বাদ। গল্প লেখায় সময় ব্যয়। ১৯৭৬ সালে দেশ পত্রিকায় ছাপা হলাে তাঁর প্রথম উপন্যাস দৌড়। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। প্রকাশিত গ্রন্থ ২১৫।
সমরেশ মজুমদার ১৯৮২ সালে পান ‘আনন্দ পুরস্কার'। কালবেলা উপন্যাসের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান ১৯৮৪ সালে।
প্রেমেন্দ্র মিত্র
নীহাররঞ্জন গুপ্ত
নীহাররঞ্জন গুপ্তের জন্ম অখণ্ড বাংলার যশাের জেলায় ১৯১২ সালের ৬ই জুন। কলকাতায় বড় হয়েছেন। পড়াশুনাের জন্য বাল্যবয়সেই কলকাতায় চলে আসেন। এখানেই কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ (বর্তমান আর, জি. কর কলেজ) থেকে ডাক্তারি পাস করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যােগ দিয়ে মেজর পর্যন্ত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে মিশর পর্যন্ত বিভিন্ন রণাঙ্গনে থেকেছেন। ব্রহ্মদেশেও অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। যুদ্ধশেষে লন্ডনে গিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন চর্মরােগবিশেষজ্ঞ ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। জনপ্রিয় রহস্য-কাহিনীকার, বাংলা সাহিত্যে গােয়েন্দা-চরিত্র ‘কিরীটী রায়’-এর স্রষ্টা নীহাররঞ্জন বড়দের ও ছােটদের জন্য সব মিলিয়ে দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। কলেজের ছাত্রাবস্থায় তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রাজকুমার। সবুজ সাহিত্য’ নামে একটি ছােটদের পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ‘কালােমর’ ছাড়াও তার অন্যান্য উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে ‘অস্তি ভাগীরথী তীরে, ‘তালপাতার পুঁথি’, ইতিহাস কথা বলে, ‘উল্কা’, ‘উত্তরফাল্গুনী’, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’, ‘লালুভুলু’, ‘বাদশা’, রাতের রজনীগন্ধা’ প্রভৃতি।
নারায়ণ সান্যাল
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
দিনাজপুর জেলার বালিয়াডাঙি গ্রামে ২৭ জানুয়ারি ১৯১৭ সালে জন্ম । আদিনিবাস বরিশাল জেলার বাসুদেব পাড়া গ্রামে। শিক্ষা জীবন দিনাজপুর, বরিশাল ও কলকাতা। পােষাকী নাম তারকনাথ গঙ্গোপ্যধ্যায়। শৈশব, কৈশাের ও প্রথম যৌবন কেটেছে উত্তর ও পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। সেই সূত্রেই বাংলায় নদনদী, পল্লীজনপদ ও আরণ্যক-প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়। মেধাবী ও কৃতী ছাত্র। ১৯৪১ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.এ. পাস করেন। সিটি কলেজে চাকরি নিয়ে জলপাইগুরি আনন্দচন্দ্র কলেজ ছেড়ে চলে আসেন। তারপর থেকে আমৃত্যু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন। তার অসাধারণ স্মরণশক্তি ছিল । সাহিত্য চর্চা শৈশব থেকেই শুরু হয়। ভারতবর্ষে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রিত প্রথম উপন্যাস উপনিবেশ (অখণ্ড) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সাহিত্য রসিক সমাজে অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখকের আসনে প্রতিষ্ঠিত হন। প্রথম প্রকাশিত গল্প সংকলনের নাম বীতংস (১৯৪৫)। প্রকাশিত গল্প সংকলন, উপন্যাস, নাটক এবং প্রবন্ধের বই আনুমানিক শতাধিক-এর মধ্যে কিশােরদের জন্য গল্প ও উপন্যাস আছে । তার সৃষ্টি টেনিদা বাংলা কিশাের সাহিত্যের অমর চরিত্র। ক্যালকাটা কেমিক্যালের উদ্যোগে প্রকাশিত কথাশিল্পী গল্প সংকলনে তার ইতিহাস' গল্পটি শ্রেষ্ঠগল্প রূপে জনমত লাভে ধন্য। হয়। তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা আয়ােজিত আনন্দ পুরস্কারও লাভ করেন। বসুমতি পত্রিকায় উদ্যোগে আয়ােজিত-সাহিত্য পুরস্কারও লাভ করেন, দেশ-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত সনন্দর জার্নাল-এর জন্য, শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সৃষ্টির জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী কিশাের সাহিত্য সৃষ্টির জন্য রঞ্জিত স্মৃতি পুরস্কারও পান। ৮ নভেম্বর ১৯৭০ সালে মাত্র তিপান্ন বৎসর বয়সে তার মহাপ্রয়াণ ঘটে।
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
গজেন্দ্র কুমার মিত্র
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ - ১লা সেপ্টেম্বর,১৯৫০) ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয়বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।
বিমল মিত্র
বিমল মিত্রের জন্ম ১৮ মার্চ ১৯১২ কলকাতায়। পিতা সতীশচন্দ্র মিত্র। শিক্ষা: চেতলা স্কুল, আশুতােষ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। রেলে চাকরি করতে করতে সাহিত্যচর্চা। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই'। পাঁচের দশকে ‘সাহেব বিবি গােলাম’ উপন্যাস লিখে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। এরপর রেলের চাকরি ছেড়ে পুরােপুরি সাহিত্যসৃষ্টিতে আত্মনিয়োেগ। তার অন্যান্য বিখ্যাত উপন্যাস কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘একক দশক শতক’, ‘চলাে কলকাতা’ ‘পতি পরম গুরু’ ইত্যাদি। প্রায় পাঁচশােটি গল্প ও শতাধিক উপন্যাসের লেখক শ্রীমিত্র তাঁর ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম' গ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত। এ ছাড়াও বহু পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন। তাঁর রচনা ভারতের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং নানা দৃশ্যমাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। প্রয়াণ: ২ ডিসেম্বর ১৯৯১।
আশাপূর্ণা দেবী
আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। সেকালের রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম, তাই স্কুলে-কলেজে যাননি, যা-কিছু পড়াশােনা বাড়িতে। খুব অল্পবয়স থেকেই লিখছেন।। সাহিত্যজীবনের শুরু ছােটদের রচনা দিয়ে। মাত্র তেরাে বছর বয়সে প্রথম কবিতা ছাপা হয় ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায়। পরবর্তী রচনা একটি গল্প, সেটিও ছাপা হয় ‘শিশুসাথী’ পত্রিকাতেই। কবিতাটির নাম—বাইরের ডাক আর। গল্পটির নাম— ‘পাশাপাশি। শুধুই ছােটদের জন্য লিখেছেন ১৩২৯ সাল থেকে একটানা চোদ্দো বছর। বড়দের জন্য লেখা প্রথম গল্প ১৩৪৩ সালে, শারদীয়া আনন্দবাজার। পত্রিকায়। প্রেম ও প্রয়ােজন’ প্রথম উপন্যাস, ১৩৫১ সালে কমলা পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত। শতাধিক গ্রন্থের লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন, পেয়েছেন। রবীন্দ্র পুরস্কার। দুটি পুরস্কারই প্রথম। প্রতিশ্রুতি’ উপন্যাসের জন্য। ট্রিলজির প্রথম গ্রন্থ এটি। অন্য দুটি গ্রন্থ— ‘সুবর্ণলতা ও বকুলকথা'। ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত হয়েছেন সাহিত্য অকাদেমির ফেলাে।। প্রয়াণ ১৩ জুলাই ১৯৯৫।