ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এক আশ্চর্য ভ্রমণোপন্যাস ‘বিজনে নিজের সঙ্গে’। এই উপাখ্যানের লেখক সেই বিরল বিশ্বপথিকদের একজন যিনি এক মহাদেশ থেকে উড়ে যান অন্য মহাদেশে, নামীদামি শহর থেকে অখ্যাত নগরীতে। স্বেচ্ছা ভ্রমণে তো বটেই, আমন্ত্রিত সফরে গেলেও তিনি কাজের ফাঁকে বেরিয়ে পড়েন কোনও খেয়ালি ভ্রমণে, যেখানে তিনি একা, নিজের মধ্যে নিজেকে খোঁজেন তিনি। এবার তিনি এসেছেন কলম্বিয়ার এক অখ্যাত শহর ম্যাডেলিনে কবিতা পাঠের আমন্ত্রণে। এই শহরটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ড্রাগ, মাফিয়া, খুনোখুনির ইতিহাস। কিন্তু লেখক বিস্মিত হয়ে যান এরকম শহরেও শুধু কবিতা শোনার জন্য শত শত মানুষের জমায়েত দেখে। কলম্বিয়ায় আসার উড়ান-পথে লেখকের সঙ্গে এক রাজকীয় রমণীর দেখা হয়। মধ্যবয়সি এই বিদেশিনীর চলনে-বলনে আভিজাত্যের নম্র অহঙ্কার। তার নাম ইলিয়ানা। এই কাহিনীর সেই নিঃশব্দ নায়িকাকে, ম্যাডেলিন থেকে বিদ্যায় নেওয়ার দিন পুলিশের সঙ্গে এক রক্তাক্ত সংঘর্ষের প্রাকমুহূর্তে লেখক যেন চকিতে দেখতে পান। সত্যিই কি সেই শস্ত্রধারিণী নারীই ইলিয়ানা? কেন সে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিল সেদিন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম : ২১ ভাদ্র ১৩৪১ (৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) ফরিদপুর, বাংলাদেশ। মৃত্যু : ৮ কার্তিক ১৪১৯ (২৩ অক্টোবর, ২০১২) কলকাতা, ভারত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম-এ টিউশনি দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। তারপর নানা অভিজ্ঞতা। ‘আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শখ : ভ্রমণ। দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ‘কৃত্তিবাস' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক তিনি। প্রথম উপন্যাস : ‘আত্মপ্রকাশ।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ : ‘একা এবং কয়েকজন। ছােটদের মহলেও সমান জনপ্রিয়তা ছিল। প্রথম কিশাের উপন্যাস- ‘ভয়ংকর সুন্দর। ‘নীললােহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ এবং ‘নীল উপাধ্যায়’ ছদ্মনামেও লিখতেন।
গ্রন্থসংখ্যা : দ্বিশতাধিক।
একাধিক কাহিনি চলচ্চিত্রে, বেতারে ও টিভির পর্দায় রূপান্তরিত ও পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।