ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এক আশ্চর্য ভ্রমণোপন্যাস ‘বিজনে নিজের সঙ্গে’। এই উপাখ্যানের লেখক সেই বিরল বিশ্বপথিকদের একজন যিনি এক মহাদেশ থেকে উড়ে যান অন্য মহাদেশে, নামীদামি শহর থেকে অখ্যাত নগরীতে। স্বেচ্ছা ভ্রমণে তো বটেই, আমন্ত্রিত সফরে গেলেও তিনি কাজের ফাঁকে বেরিয়ে পড়েন কোনও খেয়ালি ভ্রমণে, যেখানে তিনি একা, নিজের মধ্যে নিজেকে খোঁজেন তিনি। এবার তিনি এসেছেন কলম্বিয়ার এক অখ্যাত শহর ম্যাডেলিনে কবিতা পাঠের আমন্ত্রণে। এই শহরটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ড্রাগ, মাফিয়া, খুনোখুনির ইতিহাস। কিন্তু লেখক বিস্মিত হয়ে যান এরকম শহরেও শুধু কবিতা শোনার জন্য শত শত মানুষের জমায়েত দেখে। কলম্বিয়ায় আসার উড়ান-পথে লেখকের সঙ্গে এক রাজকীয় রমণীর দেখা হয়। মধ্যবয়সি এই বিদেশিনীর চলনে-বলনে আভিজাত্যের নম্র অহঙ্কার। তার নাম ইলিয়ানা। এই কাহিনীর সেই নিঃশব্দ নায়িকাকে, ম্যাডেলিন থেকে বিদ্যায় নেওয়ার দিন পুলিশের সঙ্গে এক রক্তাক্ত সংঘর্ষের প্রাকমুহূর্তে লেখক যেন চকিতে দেখতে পান। সত্যিই কি সেই শস্ত্রধারিণী নারীই ইলিয়ানা? কেন সে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিল সেদিন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন বাঙালি পাঠক হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ শক্ত। প্রথম আলো থেকে নীরা, কবিতা থেকে গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, দুহাতে লিখেছেন।কেবল লিখেছেন বললে ভুল হবে! লিখেছেন, আলোচিত হয়েছেন,সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে থেকেছেন। অসংখ্য পাঠক তাকে তুলে নেয়, পাঠ করে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
মারা গেছেন: ২৩ অক্টোবর, ২০১২, কলকাতা, ভারত
স্বামী বা স্ত্রী: স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
সন্তান: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৮৯); সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
কুইজ: সুনীলের লেখা প্রথম বই কোনটি?