ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ তিনটি কেল্লা সাধারনতঃ নজরে আসে। কেল্লা তিনটির একটিতে খচ্চর, একটিতে ছাগল আর একটিতে ভেড়ার দল বাস করে। প্রথমটি হিমালয়ের পাদ দেশে, দ্বিতীয়টি ময়নামতি- লালমাই কিয়াংক্রেডাঙ্গ এর অত্যুচ্চ-অনুচ্চ পাহাড়ের আঙ্গিনায় এবং তৃতীয়টি খাইবার পাস ও তোরাবরা পাহাগ সংলগ্ন মালভূমিতে অবস্থিত। এখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় কেল্লা সংযুক্ত। দ্বিতীয় কেল্লাকে নিয়ে নিরন্তর টানাটানি। বিরুপাক্ষের পিতা শশ্রু মন্ডিত শার্দুল প্রথম কেল্লা সম্মন্ধে জানতেন তাই সকল প্রাণীকে সব সময় সাবধান করতেন। এ দিকে তৃতীয় কেল্লার নিরন্তর শিং এর গুতো খেয়ে খেয়ে পালিয়ে যেত ছিল ব্ধপরিকর। তারা ২য় কেল্লার ফয়-ফসল, সোনা-তামা লূট করে তাদের নিজেদের কেল্লা রাখতো সাজিয়ে। শার্দূল হুংকার দিলেন, এ ভাবে থাকা যায় না। বিরুপাক্ষ এই ফাঁকে এ (২য়) কেল্লার রাজা হওয়ার জন্য তারস্বরে চিৎকার শুরু করলো। এক সময় ভেড়ার দল পাথরে শিং ঘষে ঘষে ছুচালো করে শার্দুলের কেল্লায় ঝাঁপিয়ে পড়লো। এবার প্রতিরোধ পলায়ন একযোগে চললো। যারা পালালো তার বীরখ্যাতি লাভ করলো। ১ম কিল্লার সাহায্যে ৩য় কেল্লার ভেড়ার দলকে তাড়ানো সম্ভব হলো। এর পর দ্রুত পট পরিবর্তন। বিরুপাক্ষ রাজা হয়ে গেলো। সে প্রজাদের বললো, তোরা একটু কষ্ট কর তোদের যা তামা পেতল আছে সে সব আমাকে দে আমি তোদের সোনার কেল্লা বানিয়ে দেব।