জীবনভর বুক পকেটে আগলে রেখে যে স্মৃতি জমায় মানুষ, সেসব ফেলে এক শান্ত বিকেলে কতো সহজেই চলে যায় তারা। আর কখনোই ফিরে আসেনা মায়াভরা এই পৃথিবীতে।
ছোট একটামাত্র জীবন। কিন্তু এই এক জীবনেই মানুষ কতো কিছু ছেড়ে দেয়ার দুঃখ জমায়। কাছের মানুষ, বাড়িঘর, জমানো স্মৃতি কিংবা সত্যি না হওয়া স্বপ্ন — সব ছেড়ে দিতে হয়। এই ছেড়ে চলে যাওয়ার গল্পগুলোতে বিষাদ জড়িয়ে থাকে, জড়িয়ে থাকে কতো না বলা কথা, দুঃখ।
ছেড়ে চলে যাবার এইসব গল্পগুলোতে সাক্ষী হিসেবে পড়ে থাকে বছরের পর বছর ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা একটা নিঃসঙ্গ বাড়ি। মানুষের মত নিজের কাছে জমতে থাকা দুঃখগুলোকে প্রকাশ করতে না পারার আফসোস নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
মানুষ আসে, চলে যায়। তারপর নতুন মানুষ আসে, সেও চলে যায়। কেউ কেউ ফিরে আসে। কেউবা কখনোই ফিরে আসে না। কিন্তু বাড়িটা রয়ে যায়, কতো মানুষের স্মৃতি আগলে রাখে অকপটে। কী ভীষণ শূন্য সেসব বাড়ি! অব্যক্ত ব্যাথা নিয়ে বেঁচে থাকা আমাদের — বিষাদবাড়ি।
বিষাদবাড়ি — দুঃখ জমাট বাঁধা জীবনের এক অনন্য উপাখ্যান, এক অজানা টানাপোড়েনের গল্প, বিষাদের গল্প। বিষাদবাড়ি জয়নব, হালিমা কিংবা অবন্তীর গল্প। অথবা এই অজানা গল্পটা হয়তো আমাদের সবার।
গভীর জীবনবোধের এক অনন্য উপাখ্যানে হারিয়ে যেতে পড়ুন — বিষাদবাড়ি।