১৯৫৩ সালে পুলিৎজার এবং ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার অর্জনকারী স্বনামখ্যাত কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। তিনি ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই আমেরিকার শিকাগাে শহরের ওকপার্কে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় পাবলিক হাইস্কুল থেকে ১৯১৭ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করে সাংবাদিকতা পেশা বেছে নেন। ক্যানসাস সিটি স্টার পত্রিকায় কাজ করার সময় আমেরিকার রেডক্রস সমিতির ড্রাইভার হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাঁকে ইতালির যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখির প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। হেমিংওয়ে। তাঁর ছােটগল্পে উঠে আসে সংগ্রামী মানুষ ও সমাজের অবহেলিত জনসাধারণের অভাব অভিযােগের কথা। অজস্র ছােটগল্প লেখার ফাকে ফাকে হেমিংওয়ে বেশকিছু উপন্যাসও লেখেন। এর ভেতর অন্যতম বলে স্বীকৃত উপন্যাস হলাে : দ্যা সান অলসাে রাইজেস, এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস, ফর হােম দ্য বেলস টোলস, আইল্যান্ড ইন দ্য স্ট্রিম, দ্য গার্ডেন অব ইডেন, টু অ্যাট ফাস্ট লাইট এবং দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি।
বহুমাত্রিক চরিত্রের অধিকারী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৯৬১ সালের ২ জুলাই বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেন।
মনজুর শামস
ম্যাক্সিম গোর্কি
আলেক্সেই ম্যাক্সিমোভিচ পেশকভ বা মাক্সিম গোর্কি (মার্চ ২৮, ১৮৬৮ – জুন ১৮, ১৯৩৬) বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক। তিনি নিজেই তাঁর সাহিত্যক ছদ্মনাম হিসেবে বেছে নেন 'গোর্কি' অর্থাৎ 'তেতো' নামকে। তাঁর অনেক বিখ্যাত রচনার মধ্যে মা একটি কালজয়ী উপন্যাস।
প্রথম জীবন মাক্সিম গোর্কি নিঞ্জি নভগরদ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৯ বছর বয়সে পিতৃমাতৃহীন হন। ১৮৮০ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার দাদীমাকে খুঁজতে গৃহ ত্যাগ করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এবং দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পায়ে হেঁটে সমগ্র রাশিয়া ভ্রমন করেন।
সাহিত্য রচনা ম্যাক্সিম গোর্কীর সর্বপ্রথম রচনা গণ 'মাকার চুদ্রা' ।
হারুকি মুরাকামি
সমসাময়িক পৃথিবীর সর্বাধিক জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম হারুকি মুরাকামির জন্ম ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৯, জাপানের কিয়ােটো শহরে। বর্তমানে টোকিওতে বসবাসরত এই লেখক এ পর্যন্ত লিখেছেন তেরােটি উপন্যাস এবং চারটি গল্পগ্রন্থ, যেগুলাে অনূদিত হয়েছে। পঞ্চাশটিরও অধিক ভাষায়। তার রচিত কথাসাহিত্য তাকে জাপান ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালােচকদের প্রশংসা ও অনেক পুরস্কার এনে দিয়েছে। এইসকল পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ড (২০০৬), ফ্রাংক ও’কনার আন্তর্জাতিক ছােটগল্প পুরস্কার অপরদিকে তার সমস্ত শিল্পসম্ভারের জন্য ফ্রানৎস কাফকা পুরস্কার (২০০৬) এবং জেরুজালেম পুরস্কার (২০০৯) অন্যতম।
দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল সাহিত্যকর্মের জন্য হারুকি মুরাকামিকে পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে আখ্যা দেন।
তিনি গত এক দশকে কয়েকবার সাহিত্যে নােবেল পুরস্কারের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছেন।