মেঘাদ্রিতাও কি আজ বাইরে বসে জ্যোত্মা দেখছে? রক্তপলাশের কথা ভাবছে? নাকি সে তার জগৎ নিয়ে আছে? হয়তো সম্পূর্ণই ভিন্ন এক জগৎ। যে জগতে অন্যের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণই নিষেধ। এ অধিকার থাকা উচিতও নয়। এ শুধুই আমার মনের অলীক কল্পনা। এলোমেলো চিন্তা যখন মনের মাঝে এসে উঁকি দেয় তখন নিজেকেই চেনা কষ্ট হয়। বেশির ভাগ মানুষই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে নিজেকে চেনার আগেই । আমরা জীবনভর অন্যকে চিনতে গিয়ে নিজের কাছেই অচেনা হয়ে থাকি। যাকে সম্পূর্ণ চিনে ফেলেছি ভাবি অথচ শেষবেলায় দেখি তারই অলখ রুদ্রমূর্তি। এ এক জটিল সমীকরণ। যে সমীকরণ কোনো নিয়মের ধার ধারে না। সে চলে নিজস্ব গতিতে। প্রবহমান স্রোতের মতো তার ছুটে চলা দুস্তর কোনো এক সময়ে।
সোয়েব আল হাসান
একজন সৃষ্টিশীল ও স্বপ্নবাজ মানুষ। জন্ম রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রাজধরপুর গ্রামে। পিতা মোঃ খবির মোল্লা ও মাতা খাদিজা বেগম। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে স্নাতক করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়, কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষ করে এখন দেশীয় একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত।
ক্লাস সেভেনে দেয়াল পত্রিকায় লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু। এরপর আর থেমে থাকেননি। অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, গান, নাটক, চিত্রনাট্য আর উপন্যাসে চলেছে তার অবাধ বিচরণ। ছায়ানটে কবিতার আসরের গভীর মনোযোগী ছাত্রও ছিলেন একসময়। ভালোবাসেন আবৃত্তি করতেও।
বিভিন্ন প্রজেক্টে তার নির্মিত শর্টফিল্ম, মিউজিক্যাল ফিল্ম, ট্রাভেল ফিল্ম ও ডকুমেন্টারির সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ভালোবাসেন নিজের ভাবনা ও গল্পগুলোকে ক্যামেরার ফ্রেমে তুলে আনতে। চান আলোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে সবখানে।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে তার অসংখ্য লেখা।