ঘড়িতে রাত দশটা বেজে দশ মিনিট।বিয়েতে পরার জন্য নেওয়া মেরুন রঙের বেনারসি আর গয়নাগুলো পরে দেয়ালে হেলান দিয়ে হাঁটুতুলে বসে আছে রাইমা সারাঘরে আবীরের দেওয়া জিনিসগুলো ছড়ানো ছিটানো। খাটের একপাশে আবীরের জন্য কেনা শেরওয়ানি টা রাখা রাইমার গাল বেয়ে অনবরত চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে।রাইমা একদমই নড়ছে না। খুব বেশি শোকে মানুষ পাথর হয়ে যায়।নড়াচড়া করতে পারে না রাইমাও পাথর হয়ে গেছে।হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে, পারছে না।বাহিরের অঝোর ধারায় নামা বৃষ্টির মতো রাইমার চোখেও বৃষ্টি ঝরছে। রাইমার ইচ্ছে করছে চিলেকোঠার বৃষ্টি তে ভিজতে। 'ঝুম বৃষ্টিতে ভিজলে কষ্ট কমে গিয়ে মন অনেকটা হালকা হয়, বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটার সাথে যন্ত্রণা গুলোও ঝরে পড়ে যায়', কোথায় যেনো শুনেছে রাইমা। চিলেকোঠার বৃষ্টি তে নিজেকে মেলে ধরার জন্য রাইমা উঠে দাঁড়াতে চায়, কিন্তু পারে না।রাইমার হাঁটু ভেঙে আসছে, নিঃশ্বাস নিতে পারছে না রাইমার চোখে পদ্মার বুকে ডুবে যাওয়া আবীরের মুখ ভাসছে, রাইমা অচেতন হয়ে পড়ে যায়।রাত বাড়ছে, বৃষ্টি ঝরছে তার আপন খেয়ালে।