প্রতিবছর এ সময়ে আমি আমার সারা বছরের লেখাগুলাে একত্র করে সেগুলাের দিকে তাকিয়ে বছরটা কেমন গেছে বােঝার চেষ্টা করি। এ বছরের লেখাগুলাের দিকে চোখ বুলিয়েই বুঝে নেওয়া যায়, এবার আমি সবচেয়ে বেশি সরব ছিলাম যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে। দেশের সব মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আমিও এর সমাপ্তি দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি—অনেক লেখাতেই সে বিষয়টি ঘুরেফিরে চলে এসেছে। | লেখাগুলাের দিকে তাকিয়ে আমি আরও একটা বিষয় আবিষ্কার করেছি, এ বছরের লেখালেখিতে বৈচিত্র্য একটু বেশি; তার অর্থ, অনেক কিছু ঘটেছে যেগুলাে আমাকে অনুরণিত করেছে।
পারমাণবিক শক্তি, ডিজিটাল টাইম, শিক্ষানীতি, ক্রসফায়ার কিংবা ঢাকা শহরের যানজট—কোনাে কিছুই বাকি নেই। তবে সবচেয়ে বিচিত্র ব্যাপার হচ্ছে—যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি বিচলিত করেছিল—পিলখানা ট্র্যাজেডি, সেটা নিয়ে আমি যে লেখাটা লিখে মনের ক্ষোভটুকু প্রকাশ করেছিলাম, সেটা কিন্তু কোথাও পাঠাইনি। বই হিসেবে প্রকাশ করার সময় সেই লেখাটিও এখানে জুড়ে দিচ্ছি।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
মুহম্মদ জাফর ইকবাল জন্ম : ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২, সিলেট। বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন থেকে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং বেল কমিউনিকেশান্স রিসার্চে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে সুদীর্ঘ আঠার বছর পর দেশে ফিরে দীর্ঘদিন অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন হক, পুত্র নাবিল এবং কন্যা ইয়েশিম।