এটি এ শতাব্দীর ষাটের দশকের পটভূমিতে একটি সাধারণ জীবন যাপনের গল্প। ওই জীবনে অবধারিত ভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বসবাসের বিষয়টি। মানুষের নিজের বুদ্ধি এবং তার সৃষ্টি করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা- এই দুই বুদ্ধির খেলা এখনও কম চলছেনা। এটি এত দ্রুততার সঙ্গে এগুচ্ছে যে ওই সময়ের মধ্যে এটি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা কঠিন। তবু কিছুটা আন্দাজ করেই এই কাহিনী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী অনেকেই তখন মানুষের সহকর্মী ও অন্তরঙ্গ বন্ধু। বাংলাদেশের এক নারী-বিজ্ঞানী সোফিয়া এ গল্পের মধ্যমণি। বাংলাদেশ অবশ্য সাংস্কৃতিক অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ, সবার আসল গুরুত্ব তখন বিশ্ব ব্যবস্থার ওপর। সোফিয়া, তাঁর পরিবার এবং গল্পের নানা দেশীয় পাত্র পাত্রীরা সবাই বিশ্ব নাগরিক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতে যাবতীয় কর্মযজ্ঞের দায়িত্ব দিয়ে তাঁরা এখন জীবিকার জন্য গতানুগতিক কাজ থেকে মুক্ত- যদিও অনেকেই ওই বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণের পেশায় রয়েছেন। বিশেষ করে কায়িক শ্রম থেকে মুক্তি সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক বিপ্লবের একটি বড় অবদান। সবাই এখন স্বাধীন অবকাশে সাহিত্য-শিল্প-বিজ্ঞানের আনন্দময় কাজ করেন এবং বিশেষ ভাবে করেন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে সহমর্মী মানব সেবার কাজ।
এ গল্পের অনেকের ভাবনা-চিন্তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে- এই বুদ্ধি চেতনা ও কাণ্ডজ্ঞান কী ভাবে পাবে? সুপার ইন্টেলিজেন্ট হয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেনা তো ভবিষ্যতে কখনো? তবে শিক্ষার্থীরা ও বয়স্করা সবাই পারিবারিক বন্ধন, মানুষের মন স্পর্শ করা, মানুষের সেবা এমনি আকাঙ্খায় উদ্বুদ্ধ। যন্ত্রকে তাঁরা বুদ্ধিমান করছেন, কিন্তু যান্ত্রিকতা যেন তাঁদেরকে আচ্ছন্ন না করে।