মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে অপু এসে পড়ল এক গণ্ডগ্রামে। একটি ঝোপঝাড় থেকে একঠ্যাঙা একটা ভূত বেরিয়ে এলে অপুর সামনে। ভূতটাও পথ ভুলে এই গ্রামে এসে পড়েছে-জানাল অপুকে। ওদের মধ্যে ভাব হয়ে গেল। ডাকাতদের বংশধর রতন নিজ গ্রাম নিয়ে হতাশ, ও শহর দেখতে চায়। পথে অপুর সঙ্গে দেখা হলে অপুর পেছনে ছায়ার মত লেগে থাকে রতন।
এদিকে জলডাঙা পুলিশফাঁড়ির কনষ্টেবল কেদারনাথের খুব ইচ্ছে ছিল চোরদের গ্রামের পুলিশফাঁড়িতে পোষ্টিং হোক। কিন্তু ডাকাতাদের গ্রামে তার পোষ্টিং হয়েছে। জলডাঙা পুলিশফাঁড়িতে যোগ দেয়ার পরপরই খবর এলো মনসার জঙ্গলে ডাকাতরা আস্তানা গেড়েছে। কেউ বলছে সাধু-সন্ন্যাসী বাস করছে। মনসার জঙ্গলে কিছু একটা হচ্ছে-এমন আশঙ্কা কেদারনাথের মনে। একঠেঙা ভূত উড়ে গিয়ে জঙ্গলে যা হচ্ছে, তা এসে জানাল অপুকে। অপু আর রতন এগিয়ে গেল জঙ্গলের দিকে। ওদের সঙ্গে কেদারনাথও অভিযানে নামলেন। সে-কী শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হল জঙ্গলে!
দর্পণ কবীর
দর্পণ কবীর উপন্যাস, ছােট গল্প, কবিতা ও ছড়া। লিখেন। দেশের সাহিত্যাঙ্গনে তার বহুমুখি প্রতিভার। পরিচিতি রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে গানও লিখছেন। কিশাের গল্পগ্রন্থও রয়েছে তাঁর। উপন্যাস, ছােট গল্প, কবিতা ও ছড়ার ১৭টি গ্রন্থ এ অব্দি প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯১ সালের বইমেলায় তার প্রথম ছড়ার বই-ধপাস বের হয়েছিল।
দর্পণ কবীর পেশায় একজন সাংবাদিক। ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকা, ১৯৯২ সালে দৈনিক ভােরের কাগজ ও ১৯৯৩ সালে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেছেন এক দশক। সাংবাদিক হিসাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুরাজ্য, ইউরােপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণও। করেছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি সপরিবারে। নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এই শহরেও তিনি বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছেন। দায়িত্বশীল পদে। এটিএন বাংলা টিভির যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তার সম্পাদনায়-দেশকণ্ঠ পত্রিকা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি। তার জন্মশহর নারায়ণগঞ্জ।