এক জোছনারাতে অপহরণকারীরা শাফায়েত কবিরকে ফেলে রেখে যায় পাহাড়ি রাস্তার ধারে। জেরা করার সময় একজন বলেছিল, ‘খেয়াল কইরেন শাফায়েত সাহেব, একটা গরু কীভাবে বাঁচে।’ কিন্তু শাফায়েত গরুর মতো বাঁচতে চায়নি। সে কারণে নজরদারি শুরু হয়ে যায়। একের পর এক অচেনা আগন্তুক আসতে শুরু করে তার বাসায়। তারা শাফায়েতকে এক ভয়ংকর খেলায় নামতে বাধ্য করে এবং একজন বলে, ‘এই খেলায় আপনি আউট হয়ে যাবেন—আউট মানে ডেথ।’মায়ের প্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধা, শাফায়েতের গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনিও কি শাফায়েতকে অর্থহীন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন? খালাতো বোন নুসরাত, চন্দ্ররাতে যাকে গাছের মতো নগ্ন হওয়ার উসকানি দেয়, প্রেসের মুখোমুখি করে— সেও কি তাকে একই পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়? যদিও নুসরাত বলে, ‘আমরা ঠিক রাস্তাতেই আছি।’ রাষ্ট্রখেলা শাফায়েতকে সবকিছু থেকে উৎখাত করে, এমনকি নিজের পরিচয় ও ‘দেহ’ থেকেও। তনুজা শারমিনের চিত্র প্রদর্শনীতে গিয়ে শাফায়েত তার সেই বদলে যাওয়া ‘প্রতিকৃতি’ দেখতে পায়।
এক জবরদস্তিমূলক রাষ্ট্র পরিস্থিতির ভেতর আত্মগোপনে থাকা শাফায়েতের নতুন নাম হয় মুনশি ইব্রাহিম। তার হাতে আসে সিন্দুকে পাওয়া একটি পুরোনো রাইফেল। তবে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে এসেছে তারই মতো বহু মুনশি ইব্রাহিম।