বিজ্ঞানের শুরু হয়েছিল সমস্যা সমাধান করার জন্য। ধাপে ধাপে যুক্তি দিয়ে বিচার করে বিজ্ঞান একেকটি সমস্যা সমাধান করে।লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মানুষ এ পৃথিবী ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে এতকিছু জেনেছে। চাঁদে গিয়ে ঘুরে এসেছে। এমনকি আজ থেকে ১.৩৭ বিলিয়ন বছর আগের আদি মহাবিশ্ব কেমন ছিল, সেটাও মানুষ জানতে পেরেছে। বাস্তবে বিজ্ঞানের আবিষ্কার সব সময় এত নিয়ম মেনে নাও হতে পারে। অনেক সময় বিজ্ঞানীরা হঠাৎ করেই কোনো কিছু সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যান। যেমনঃ জার্মান রসায়নবিদ ফ্রেডরিখ কেকুল একবার স্বপ্নে দেখেন, একটি সাপ তার লেজ গিলে খাচ্ছে। তখনো বেনজিনের আণবিক গঠন বিজ্ঞানীদের জানা ছিলো না। এবং পরবর্তীতে তার মনে হয় বেনজিনের গঠন সেই লেজ খাওয়া সাপের গোলাকার।
আজকে আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবনযাপন করি, তার প্রায় সবকিছুর পেছনেই রয়েছে বিজ্ঞানের অবদান। আমাদের এখন স্মার্টফোন, কম্পিউটার, এসি (AC), উড়োজাহাজ ও রকেটের মতো প্রযুক্তি রয়েছে।
এক্সক্লুসিভ সায়েন্স এনসাইক্লোপিডিয়া বইটি লিখেছেন হিমাংশু কর, যিনি জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও প্রাচীন সভ্যতা নিয়ে লেখালেখি করেন। তার বেশিভাগ লেখনীতেই বিজ্ঞানের সহজ বিশ্লেষণ ফুটিয়ে তুলেছেন।
এক্সক্লুসিভ সায়েন্স এনসাইক্লোপিডিয়া বইটিতে পদার্থ, গতি, শক্তি ও যন্ত্র, বিদ্যুৎ ও চুম্বকত্ব, আলো ও শব্দ, পৃথিবী ও জীবন, স্থান এবং কাল এই প্রতিটি ক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান তিনটি ভিন্ন শাখা হলেও আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শাখাগুলোকে একত্রে কাজ করতে হয়, তা ছবি এবং বিশদ বিশ্লেষণ করে পাঠনের উপযোগী করা হয়েছে।