বংশগতির ভাবনা হাজার বছরের। তাই জেনেটিকস বিষয়টার একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। একটা সময় মানুষ না জেনে না বুঝেই বংশগতির আইনকে কাজে লাগিয়েছে। সে হাজার হাজার বছরেরও আগের কথা। হোমো সেপিয়েন্স তখন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। বিজ্ঞানের জন্ম তারও বহু পরে। সুশৃঙ্খল উপায়ে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করার রীতি চালু হওয়ার পর দার্শনিকরা বংশগতির ব্যাখ্যা খোঁজায় মনোনিবেশ করেন। কিন্তু চাঁদ, সূর্য, আকাশ ইত্যাদির মতো বংশগতি খুব সহজে মানব মস্তিষ্কে ধরা দিতে চায় না। এটা খুব গভীরের বিষয়। সেজন্য আলাদা চোখ থাকতে হয়।
সূর্য কীভাবে আকাশপটে পূর্ব-পশ্চিমে ঘুরে বেড়ায় বা তারা ও গ্রহের গতিপথের সাথে বাবা-মা ও সন্তানের শারীরিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করায় কিছু পার্থক্য আছে। তারপরও তাঁদের সীমিত জ্ঞানের মাধ্যমে তাঁরা এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বের করার চেষ্টায় তৎপর হয়েছেন। আধুনিক জেনেটিকসের সূচনা হয় গ্রেগর মেনডেন্স-এর মাধ্যমে। সেটাও সেই আঠারো শতকের কথা। উনিশ শতকে এসে জেনেটিকসের গবেষণা দুর্বার গতিতে চলতে থাকে। এসবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই বইটিতে।
তৌহিদুর রহমান উদয়
চিকিৎসক ও বিজ্ঞান লেখক। লেখালেখির বিষয় মূলত তত্ত্বীয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান। তবে বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত যেকোনাে বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন। বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বীয় বিষয়গুলােকে যতটা সম্ভব সহজ-সরল, আকর্ষণীয় ও সকলের বােধগম্য করে উপস্থাপন করার বিষয়টাকে অধিক গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করেন, বিজ্ঞানে আগ্রহী যে কেউ কেবলমাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা দিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার পথে সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করতে পারে। তার মতে, বিজ্ঞানের যেকোনাে বিষয়কে যেকোনাে মানুষের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করা সম্ভব। বিজ্ঞানকে তিনি কতিপয় মানুষের মাঝে। সীমাবদ্ধ রাখার ঘাের বিরােধী। বিজ্ঞানের প্রতি ভালােবাসা থেকে বিজ্ঞান পড়েন, বিজ্ঞান লিখেন। বিভিন্ন বিজ্ঞান সংগঠন ও বিজ্ঞান সংস্থার সাথে জড়িত আছেন, নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন বিজ্ঞান ব্লগ ও বিজ্ঞান পত্রিকায়।