ফোনটা বের করে তাড়াতাড়ি সময় দেখলেন তিনি। ভাগ্য ভালো মাত্র পনেরো মিনিট পার হয়েছে। পরীক্ষা শেষের আরও আধঘণ্টা বাকি। ছাত্ররা লিখতে ব্যস্ত, কেউ হয়তো খুব একটা খেয়াল করেনি তিনি ঘুমাচ্ছেন।
পুরা ক্লাস আর একবার মনিটর করার জন্য তিনি উঠে দাঁড়ালেন। সহস্ত্রবুদ্ধির বুদ্ধিমান দুই চোখ এড়িয়ে আজ পর্যন্ত কেউ নকল করতে পারেনি। আজকেও পারবে না।
কিন্তু উঠে দাঁড়িয়েই তিনি টের পেলেন, কেউ আসলে নকল করার অবস্থাতেই নেই।
সবাই ঘুমাচ্ছে, অথবা ঘুম থেকে উঠছে।
প্রফেসর সহস্রবুদ্ধি কী মনে করে আর একবার মোবাইলটার দিকে তাকালেন।
পনের মিনিট পার হয়নি;
পার হয়েছে চব্বিশ ঘণ্টা পনের মিনিট।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবাসী জেনে গেল –
২০২২ সালের ১১ থেকে ১২-ই মের ভেতর চব্বিশটা ঘণ্টা আসলে তাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে।