সূচীপত্র সূচীপত্রে গানের প্রথম ছত্রের উল্লেখের সঙ্গে সঙ্গে, ছেদচিহ্নের পর, তৎসম্পকির্তত প্রচলিত স্বরলিপিগ্রন্থের নির্দেশ দেওয়া গেল। স্বর = স্বরবিতান। পরবর্তী অঙ্ক উক্ত গ্রন্থমালার খ-সূচক। অন্তর মম বিকশিত করো। স্বর ২৪ অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে। স্বর ৩৭ আকাশতলে উঠল ফুটে আছে আমার হৃদয় আছে ভরে আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়। শেফালি। গীতিচর্চা ১ আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে আজ বারি ঝরে ঝর ঝর। কেতকী। গীতিচর্চা ১ আজি গন্ধবিধূর সমীরণে। স্বর ৩৮ আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার। কেতকী আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। স্বর ৩৮ আজি শ্রাবণঘন-গহন-মোহে। কেতকী আনন্দেরই সাগর থেকে। শেফালি। গীতিচর্চা ১ আবার এরা ঘিরেছে মোর মন। স্বর ৩৭ আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে। কেতকী আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা। শেফালি। গীতিচর্চা ২ আমার এ গান ছেড়েছে তার আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু আমার একলা ঘরের আড়াল ভেঙে আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে। স্বর ৩৭ আমার চিত্ত তোমার নিত্য হবে আমার নয়ন-ভুলানো এলে। শেফালি আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে আমার মাঝে তোমার লীলা হবে আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার। স্বর ২৩ আমার মিলন লাগি তুমি। স্বর ৩৭ আমারে যদি জাগালে আজি, নাথ। কেতকী আমি চেয়ে আছি তোমাদের সবা-পানে আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই। স্বর ২৪ আমি হেথায় থাকি শুধু। স্বর ৩৮ আর আমায় আমি নিজের শিরে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (জন্ম : ৭ মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (মৃত্যু : ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছােটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমােট ৯৫টি ছােটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সঙ্কলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খন্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খন্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার পান।