কোনো এক প্রাগৈতিহাসিক নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তির প্রাচীরে গন্তব্যহীন অন্ধকার হয়ে সেঁটে রইল তারা। অযুত বাধার অজস্র পথ পেরিয়ে এসেও যেন ডিঙাতে পারল না অনভ্যাসে অগম্য হয়ে ওঠা অকর্ষিত অভিমানী মনভূমিটুকু।
কিন্তু তাদের মন ও শরীর আলগোছে হাওয়ায় ছড়িয়ে দিতে লাগল স্মৃতির সুবাস। সেই সুবাস কি ডিঙিয়ে যেতে পারবে এই অলঙ্ঘনীয় দ্বিধার দেয়াল?
হেমন্তের বিষণ্ণ সন্ধ্যায় দূর কোথাও থেকে ভেসে আসছে অদ্ভুত হাহাকারের সুর। বুকের ভেতর আলগোছে নেমে আসছে মেঘ কিংবা কুয়াশা। কিংবা গাঢ় শীতল অন্ধকার। নাম না জানা দুঃখ। সেই দুঃখের ভেতর মন কেমনের হাওয়া। সেই হাওয়ায় ওই বিষাদ অন্ধকারে যেন স্থির হয়ে আছে প্রাচীন পাথরে খোদাই করা দুটি মূর্তি।
কী আশ্চর্য, সেই মূর্তির বুকেও হঠাৎ জলের ঢেউয়ের মতো ছলাৎ ছলাৎ শব্দ হতে থাকে!
সাদাত হোসাইন
স্নাতকোত্তর নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। দুটো ইচ্ছে নিয়ে স্বপ্নযাত্রার শুরু। একখেয়ানৌকার মাঝি হওয়া, দুই- নিজের নামটি ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়া। মাদারীপুরের কালকিনি থানার কয়ারিয়া নামের যে গ্রামে জন্ম, তার পাশ দিয়েই তিরতির করে বয়ে গেছে ছােট্ট এক নদী। খেয়ানৌকার মাঝি হওয়ার স্বপ্নটা তাই সত্যি হওয়াই ছিল সহজ। কিন্তু হলাে উল্টোটা। পূরণ হলাে দ্বিতীয় স্বপ্নটি! সাদাত হােসাইন হয়ে গেলেন লেখক। লিখেছেন কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস; যা প্রশংসা কুড়িয়েছে পাঠকমহলে। আরশিনগর নামের দীর্ঘ কলেবরের উপন্যাসটি রীতিমত চমকে দিয়েছে পাঠকদের। সাথে বিস্ময় তৈরি করেছে তার আরও একটি দীর্ঘ কলেবরের উপন্যাস অন্দরমহল। শুধু লেখালেখিই নয়, দুর্দান্ত আলােকচিত্রী সাদাত হােসাইন নিজের স্বপ্নের সীমানাকে বাড়িয়ে নিয়ে গেলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণেও তার নির্মিত বােধ ও দ্য শুজ শর্টফিল্ম দুটি প্রশংসার ঝড় তুলেছে বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন। একাধিক নতুন ফিল্ম নিয়ে সাদাত হােসাইনের জগতজুড়ে অমিত স্বপ্নের বাস। সেই স্বপ্নের সবটা ছুঁয়ে ছুটে যেতে চান অবিরাম। সম্প্রতি আলােকচিত্র, লেখালেখি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য জিতেছেন ‘জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।