ভূমিকা দুই হাজার কোটি বছর আগে মহা-বিস্ফোরণের ফলে বিশ্বব্রক্ষণ্ডের সৃষ্টি। জন্মলগ্ন থেকেই এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে, এ ব্যপ্তি ও বৈচিত্র মানুষের কল্পনাশক্তিকে হার মানায়।বিশ্বব্রক্ষণ্ডের বর্তমান বিস্তৃতি সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের একটি ধারণা রয়েছে-আনুমানিক ১০ হাজার কোটি আলোকবৎসর আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার, অর্থাৎ আমাদের যন্ত্রের সাহায্যে আমরা অনুমান করতে পারি যে বিশ্বব্রক্ষাণ্ডে কোথাও এমন বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে যেখান থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ২০ লক্ষ কোটি আলোক-বৎসর! এমন বিষয় কেবলই কি প্রকৃতিক ছলনা না কি বাস্তবতার মহাজাল এর বিচারে মানুষের অতি শক্তিধর মস্তিষ্ক অনাগতকাল ব্যস্থ থকাবে সন্দেহ নেই জীবকোষের মাঝে বিদ্যমান এমনি এক ক্ষুদ্র বিশ্বব্রক্ষাণ্ড যার কর্মজাতিকার সীমাহীন ব্যাপ্তি আমাদের কল্পনাকে নিয়ত পরাভূত করে যাচ্ছে। এর শেষ কোথায় সে প্রশ্ন নিয়েও আমরা ব্যস্ত থাকবো অনাদিকাল। বংশাণু সেই বিশাল কর্মজালিকার ক্ষুদ্র এক অংশ যা নিয়ে মানুষের বৈজ্ঞানিক খেলাকৌশল চলছে দীর্ঘদিনের ধরে বিচিত্র ধারায়। এই বইটিতে তার সামান্য উপাখ্যানের সঙ্গে পাঠকের পরিচিতি হতে পারে।
সুধীর কুমার দত্ত
ফিল গেটস
Title :
জীবপ্রযুুক্তি : ভাল-মন্দের কড়চা পরাক্রান্ত বংশাণু