ভূমিকা জোক্সের বইয়ের আবার ভূমিকা কী? সবই তো মারিং কাটিং...তবে এখন অনেক মৌলিক জোক্স তৈরি হচ্ছে ভিতরে ভিতরে। আশা করছি পাঠকদের ভালো লাগতে পারে। অবশ্য আমাদের এখন আর সময় কোথায়? সবাই জীবনযুদ্ধে ব্যস্ত। তবে যুদ্ধের মধ্যেও কিন্তু সৈনিকরা হাসে।
এই গ্রন্থ বের করতে জোক্স সাপ্লাইয়ে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে ডাক্তার কাম কার্টুনিস্ট শাহরীয়ার শরীফ। তাকে যখন জিজ্ঞেস করি, ‘কী শাহরীয়ার নতুন জোক্স কিছু স্টকে আছে?’ ‘আছে’ বলে সে পকেট থেকে দুমড়ানো-মুচড়ানো একগাদা কাগজ বের করে দেয়। যেখানে সব সময়ই কিছু না কিছু নতুন জোক্স থাকে। তবে তার হাতের লেখা থেকে জোক্স উদ্ধার করতে আমার ..কী আর বলব তবে এটা তো আমরা সবাই জানি যে ডাক্তারের হাতের লেখা সবচেয়ে খারাপ সে সবচেয়ে ভালো ডাক্তার!
উন্মাদের কনিষ্ঠ কর্মী স্পন্দন চৌধুরী, অর্পন দাশ গুপ্তও আমাকে জোক্স শুনিয়ে সহযোগিতা করেছে। প্রচ্ছদে এক্সেস ডিনাইড লেখা কেন? আমি চাই জোক্স আর কেউ না পড়ুক। সবাইকে ধন্যবাদ। এ বইয়ের পাঠকদেরকেও (বই কিনলে)। আহসান হাবীব উন্মাদ কার্যালয় মিরপুর, ঢাকা।
আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)
আহসান হাবীবের জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭, সিলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে মাস্টার্স করে জীবনের প্রথম চাকরি ব্যাংকে। তারপর হঠাৎ পেশা বদল। পেশা হিসেবে বেছে নিলেন কার্টুন। দেশের একমাত্র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক... ত্রিশ বছর ধরে। ম্যাগাজিন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে যেন তার ভালাে লাগে। অনেক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি পত্রিকা হল- কিশাের পত্রিকা ‘দুরন্ত’ ও সায়েন্স ফিকশন ম্যাগাজিন ‘ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন। কার্টুন আঁকার পাশাপাশি জোকস তাঁর প্রিয় বিষয়। বিষয়টিকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিখ্যাত সেই স্প্যানিস দার্শনিকের মতাে তিনিও মনে করেন যে দিনটা হাসা গেল না সেই দিনটা নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ!'
জোকস ছাড়া রম্য রচনায়ও তিনি পারদর্শী। এই লেখকের বর্তমান বয়স ৫৫। শিক্ষিকা স্ত্রী আফরােজা আমিন আর একমাত্র মেয়ে শবনম আহসানকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ