হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবিতায় নতুন নিরীক্ষা করেছেন জমিনে ফারাক নেই পর্বে। ব্যক্তি ও সমষ্টি এখানে অভেদ। পৃথিবীব্যাপ্ত আর্তনাদ কবিকণ্ঠের কোমল আর্তিতে ধারণ করে রক্তক্ষত। সময় অতীতের তীর থেকে মুহুর্মুহু ডানা ঝাপটায় ভবিষ্যতের বন্দরে। সমাজ ও দেশগত অনুভব আড়াল করে না বৈশ্বিক উপলব্ধি। কবিতায় গুরুভার প্রসঙ্গ ধারণ করেও এই গুচ্ছের কবিতাভাষা সহজ, সুন্দর এবং যোগাযোগযোগ্য। প্রকৃতি আর নির্মিতির পথরেখা ধরে পল্লি ও নগরবাংলা যুগপৎ ভাস্বর এই বইয়ের ছোট-বড় কবিতাগুলোতে। জীবনের প্রাত্যহিক ধূসর বাস্তবে অতঃপর হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বিভাময় দর্শনে পাঠক পৌঁছে যান এমন অনিবার্য পাঠে:
জমিনে ফারাক নেই—বান্দা হে কবুল!
গোল হয়ে ঘুরি
সুলুক-সন্ধানে থাকি
কোনখানে মায়াভূমি, কোন দিকে আমার পশ্চিম?
হাবীবুল্লাহ সিরাজী
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৮, ফরিদপুর, বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক। পদ্য-গদ্য মিলিয়ে গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার : বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১), যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০), মহাদিগন্ত পুরস্কার (২০১১)। বাংলা একাডেমির ফেলো, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি। ভ্রমণ : ভারতবর্ষ, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, কুয়েত।