'জার্নালিস্টের জার্নাল' বইয়ের কিছু কথাঃ আমি কোন মহাপুরুষ নই যে আত্মজীবনী লিখব; যশস্বী বা কৃতি পুরুষদের মত স্মৃতিকথা লেখার অধিকারও আমার নেই। তবু সব মানুষের মতই জীবনের পথ চলতে চলতে কিছু দেখেছি, কিছু শুনেছি। কিছু কিছু উপলব্ধিও করেছি। অত্যন্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি। ছোটবেলায় শিয়ালদহ স্টেশনের আশেপাশের পেট মোটা কনস্টেবল দেখেই ঘাবড়ে যেতাম। কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দিতে না দিতেই খবরের কাগজের রিপোর্টার হলাম। রাইটার্স বিল্ডিংস-লালবাজার যাতায়াত তখন নিত্যকর্ম হল। মাঝে মাঝে রাজভবনে বা দমদম এয়ারপোর্টে বা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর দর্শনও জুটে যেত। তারপর হঠাৎ অনেক কিছু ঘটে গেল আমার জীবনে। যা কোন দিনই হবার কথা নয়, যা কোন দিন স্বপ্নেও ভাবিনি, তাই ঘটে গেল। একের পর এক, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।….
নিমাই ভট্টাচার্য
নিমাই ভট্টাচার্য-র জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৩১। শিক্ষাদীক্ষা ও সাংবাদিক জীবনের শুরু কলকাতায় পরে দিল্লিতে পচিশ বছর বিশিষ্ট কয়েকটি সংবাদপত্রের রাজনৈতিক-কূটনৈতিক সংসদীয় সংবাদদাতা। ইনি ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, জওহরলাল নেহরু, পণ্ডিত গােবিন্দবল্লভ পন্থ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ভি. কে. কৃষ্ণমেনন, মােরারজী দেশাই, যশােবন্ত রাও চ্যবন, ইন্দিরা গান্ধী প্রমুখ নেতৃবৃন্দের বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন। কভার করেছেন নির্জোট শীর্ষ সম্মেলন, কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন, রাষ্ট্রপুঞ্জ, প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর ইত্যাদি; রানি এলিজাবেথের সঙ্গে ছ’সপ্তাহ ধরে ভারত-নেপাল ঘুরেছেন তাছাড়া আইসেনহাওয়ার, হাে-চি-মিন, চৌ এন লাই, ক্রুশ্চেভ, নাসের, টিটো প্রভৃতি বিশ্ববরেণ্য নেতৃবৃন্দের সফর কভার করেছেন। ঘুরেছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। লেখকের প্রথম বই ‘রাজধানীর নেপথ্যে প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। ১৯৬৮ তে ‘মেমসাহেব’ প্রকাশিত হবার পরই পাঠকসমাজে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।