ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ অনুরোধের ঢেঁকির মতো অনুরোধের উপন্যাসও আছে। অনুরোধের উপন্যাসগুলি সাধারণত ঈদসংখ্যা এবং পূজা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। প্রোটিনের অভাবে অপুষ্ট দেহ। লিকলিকে শরীরে বিরাট পেট। কুহুরানী এরকম একটি উপন্যাস। একটা পত্রিকার ঈদ সংখ্যার লেখা। আমার হাতে সময় মাত্র তিন দিন।পত্রিকার লোক বসার ঘরে শুকরা মুখে বসে আছেন।আমি লিখছি।ছয়-সাত পাতা লেখা হতেই তিনি স্লিপ নিয়ে পত্রিকা অফিসে ছুটে যাচ্ছেন। কম্পোজ করে গেটাপ দিয়ে সাজিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুল ভ্রান্তি? আগে পত্রিকা বের হোক, ভুল প্রান্তি পরে দেখা যাবে। অনুরোধের কুহুরানীকে বই হিসেবে ঠিকঠাক করতে অনেক কষ্ট করতে হলো্ কুহুরানী প্রকাশনার দিনে ছোট্ট একটি প্রতিজ্ঞা করছি-অনুরোধের উপন্যাস আর না।
হুমায়ূন আহমেদ
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ‘নন্দিত নরকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। এই উপন্যাসে নিম্নমধ্যবিত্ত এক পরিবারের যাপিত জীবনের আনন্দ-বেদনা, স্বপ্ন, মর্মান্তিক ট্রাজেডি মূর্ত হয়ে উঠেছে। নগরজীবনের পটভূমিতেই তাঁর অধিকাংশ উপন্যাস রচিত। তবে গ্রামীণ জীবনের চিত্রও গভীর মমতায় তুলে ধরেছেন এই কথাশিল্পী। এর উজ্জ্বল উদাহরণ অচিনপুর ফেরা মধ্যাহ্ন মুক্তিযুদ্ধ বারবার তাঁর লেখায় ফুঠে উঠেছে। এই কথার উজ্জ্বল স্বাক্ষর জোছনা ও জননীর গল্প ১৯৭১ আগুনের পরশমণি শ্যামল ছায়া নির্বাসন প্রভৃতি। উপন্যাস গৌরীপুর জংশন যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ চাঁদের আলােয় কয়েকজন যুবক'-এ জীবন ও চারপাশকে দেখার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ মূর্ত হয়ে উঠেছে ‘বাদশা নামদার’ ও ‘মাতাল হাওয়ায় । অতীত ও নিকট-অতীতের রাজরাজড়া ও সাধারণ মানুষের গল্প ইতিহাস থেকে উঠে এসেছে। গল্পকার হিসেবেও হুমায়ূন আহমেদ ভিন্ন দ্যুতিতে উদ্ভাসিত। ভ্রমণকাহিনি, রূপকথা, শিশুতােষ, কল্পবিজ্ঞান, আত্মজৈবনিক, কলামসহ সাহিত্যের বহু শাখায় তাঁর বিচরণ ও সিদ্ধি।
হুমায়ুন আহমেদের জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ এবং মৃত্যু ১৯ জুলাই ২০১২।