প্রকৃতি সেই সকাল থেকে খবরের কাগজ হাতে নিয়ে বসে আছে। কারও সাথে কোনো কথা বলছে না। বার বার ইয়ামিনকে নিয়ে দেওয়া বিচ্ছিরি, জঘণ্য খবরগুলোর শিরনামে চোখ বুলাচ্ছে। এমন খবরে ওর কেমন রিয়াক্ট করা উচিত তা ও বুঝতে পারছে না! ইয়ামিনের অন্ধকার এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যে ও অবগত ছিল না তেমন কিন্তু নয়! ও প্রায়ই ইয়ামিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকত। শঙ্কায় থাকত ওর নিজেরও অনিশ্চিত জীবন নিয়ে। কিন্তু তবুও সব দেখেও বুঝেও, অদেখা অবুঝের মত ভান করে থাকত সর্বদা। কখনও ইয়ামিনকে ভালো পথে ফিরতে বলেনি। যদি ইয়ামিন ভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে ইয়ামিন আটকা পড়েছে। প্রকৃতি সর্বক্ষণ চেয়েছে ওদের দুজনার সম্পর্ক হবে মুক্ত পাখিদের মত। যারা ভালোবাসে, নীর বাঁধে, কিন্তু একে অপরকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়। সম্পর্কে অতিমাত্রায় অধিকারবোধ ধীরে ধীরে সম্পর্ককে দমবন্ধময় করে দেয়। প্রকৃতি চায়নি ওদের সম্পর্ক আর পাঁচটা সম্পর্কের মত হোক। সবসময় চাইত ওদের সম্পর্ক হোক স্বচ্ছ, মুক্ত। আনমনে ভাবছে প্রকৃতি তবে কি সব শেষ হয়ে যাবে শুরু হওয়ার আগেই? সত্যি ফাঁসি হবে ইয়ামিনের? নাকি সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে দিবেন এ যাত্রায়!
শারমিন আক্তার সাথী
শারমিন আক্তার সাথী জন্ম ২২ সেপ্টেম্বর। শিক্ষাগত যােগ্যতা বিবিএস। স্বামী মাে. আজমীর হােসেন, বাবা মাে. শহিদুল ইসলাম (ব্যবসায়ী), মা নাছিমা বেগম (গৃহিণী)। বরিশাল সদরে বসবাস করেন। শখ বই পড়া, বাগান করা, হাতের শৌখিন জিনিস বানানাে। | ‘সমীকরণের মিশ্রণ’... লেখকের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।