করোনার হাত থেকে বাঁচতে যদি চাও বলছি তোমায় নিয়মগুলো, একটু জেনে নাও। ভীষণ ছোট এই জীবাণু, মাস্ক পেরিয়েও ঢোকে, তবুও তোমায় পরতে হবে, কমবে ঝুঁকি তাতে। ভিড় বাট্টা এড়াও, চলো, হাঁচি-কাশি দেখে হাতটি তোমার নিয়ো না যে নাক, মুখ, আর চোখে। বাইরে থেকে ফিরলে ঘরে, কিচ্ছু ধরো না যে সাবান দিয়ে বিশটি সেকেন্ড, হাতটি ধুয়ো আগে। তবুও যদি হয় গো অসুখ, হয়ো নাকো ভীত, ঘরে থেকো, অন্যকে আর করো না সংক্রমিত। ওষুধ খেয়ো ডাক্তার মেনে, সঙ্গে গরম জল, ভালো ভালো খাবার খেয়ো, দেহে পাবে বল। হও সচেতন বীর বাঙালি, আমরা সবই পারি, করোনাকে দূর করে দিই, ঠেকাই মহামারি।
বাংলায় সুন্দরভাবে বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরতে পটু মানুষদের একজন হলেন এই বইয়ের লেখক সঞ্জয় মুখার্জী। তিনি সহজ ভাষায় অণুজীবদের নিয়ে আগেও গল্প বলেছেন আমাদের। তার সহজবোধ্য লেখনীর কারণে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিজ্ঞানের জগৎ, অণুজীবের দুনিয়া, জীববিজ্ঞানের চিত্র। করোনা নিয়ে সঞ্জয় মুখার্জীর এ বইটিও সে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ছোটদের জন্য সহজবোধ্য করে লেখা, তবুও বৈজ্ঞানিক তথ্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সঞ্জয় সেই কাজটি সাফল্যের সাঙ্গেই করেছেন। সত্যিকারের গল্পগুলো পড়লে আমরা করোনাভাইরাসের প্রকৃতি, বিবর্তন, কাজের প্রণালি, করোনারোগের ধরন, চিকিৎসা, বিস্তার ইত্যাদি বহু বিষয়ে জানতে পারব। মিথ্যা এবং ভুল তথ্যের প্রাচুর্যের এই যুগে এমন বই অপরিহার্য। কল্পে গল্পে করোনাবিদ্যা বইটির জন্য শুভকামনা রইল। খান তানজীদ ওসমান গবেষক এমআইটি, আমেরিকা।
সঞ্জয় মুখার্জী
সঞ্জয় মুখার্জীর জন্ম ১৬ আগস্ট, ১৯৮৯ রংপুরে।শৈশব কেটেছে ঢাকায়, কৈশোর রংপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থকে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর, বি) ছাত্রাবস্থা থেকেই শিক্ষকতার প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে পরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে সেখানেই শিক্ষকতা করছেন্ ভালোবাসেন শিখতে, শেখাতে, লিখতে, বাশিঁ বাজাতে আর খেলাধুলা করতে। অনেক স্বপ্ন রয়েছে তার। স্বপ্নগুলো লালন কারে চলেছেন, একদিন ডানা মেলে আকাশে উড়িয়ে দেবেন বলে।