ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আবদুশ শাকুরের রম্যরচনা লঘুশাস্ত্রীয় সংগীত টপ্পা ও ঠুংরির মতো। এ রচনার সুস্মিত হাস্যরস আভিজাত্যেরও স্বতন্ত্র একটি স্তরের। টপ্প-ঠুংরির নিচে নেমে আখড়াই-হাফআখড়াই-আসরের খেমটাওয়ালি সাজার খামখেয়ালি করতে গেলেই লেয়ালি-লেখাটা রম্যরসাত্মক রচনার আসর থেকে ছিটকে গিয়ে, পড়ে যায় হাস্যরসাত্মক রচনার এলাকায়। অন্যকথায় বর্ণিক মঁতেইনের বংশধর হয়ে যান রসিক রাবলের সাগরেদ।
শাকর রাবলের নয়, মঁতেইনের উত্তরসূরি-যিনি স্বপ্ন পরিসরে স্বচ্ছন্দ ও মনোহর ভঙ্গিতে, লেখকের স্ব-কে প্রকাশ করার একটি নতুন শিল্পসংরূপ উপহার দিয়েছেন। রূপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণটি, বেকনের নিজের ‘এসে’ সম্পর্কে-করা, একটি উকিতেই মূর্ত হয়ে ওঠে : রচনা হল লবণের দানা, যা ভোগে উব্দুদ্ধ করবে; ভোগক্লান্তির সৃষ্টি করবে না। আবদুশ শাকুর মনে করেন- রমণীয় রচনাসাহিত্যকে লঘুশাস্ত্রীয় থাকতেই হবে।