১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর বাংলায় যে অগ্নিযুগের সূচনা হয়েছিলো- সেই যুগের এক তরুণ শিক্ষক ও তাঁর কতিপয় দেশপ্রেমিক ছাত্রের বৃটিশবিরোধী অসমাপ্ত সশস্ত্র বিপ্লবকে ঘিরে রক্তস্নাত আখ্যান তৈরীর চেষ্টা করা হয়েছে 'লক্ষণ রেখা' উপন্যাসে। এই বিপ্লবকে সন্ত্রাসবাদ এবং মুসলমানের সমর্থন ছিলো না- এরূপ ইতিহাসের চর্বিত চর্বন ও অপবাদ চলছে যুগের পর যুগ। এই উপন্যাসে বিপ্লবী শিক্ষক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।
এটি ইতিহাস গ্রন্থ নয়। আমি ইতিহাসের জরাজীর্ণ অস্থিতে শৈল্পিক মাংস লাগিয়েছি মাত্র, আর কিছু অসংলগ্ন অপযুক্তিকে খণ্ডন করার নির্মোহ চেষ্টা করেছি। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে আদিবাসী সাঁওতালদের সদর্প অংশগ্রহণ এখানে বর্ণিত হয়েছে। এমনকি একজন দেশপ্রেমিক দেহ পসারিণীও আছেন। এই উপন্যাসে এসেছেন ক্ষুদিরাম বসু, বাঘা যতিন, ঋষি অরবিন্দ, বারিন্দ্র ঘোষ, প্রমথনাথ মিত্র, ব্যারিস্টার গোলাম রসুল, রাসবিহারী বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিম চন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়সহ অনেক মনিষী। এসেছে তৎকালীন সংবাদপত্রের খবরাখবর, বাহন ও লোকাচার। উঠে এসেছে নদীবিধৌত রাঢ়বঙ্গের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যসহ অনেক পৌরাণিক ঘটনা।