ঘনকালো মেঘে ঢাকা নিশানের জীবনে ইশা আসে এক চিলতে রোদ হয়ে। নিজের দুঃসাহসিক আর অনিশ্চিত জীবনের সাথে চঞ্চল আর সদা আনন্দে মেতে থাকা মেয়েটার জীবনের ঘন কালো অন্ধকারের কারণ হতে চায়নি নিশান। কিন্তু মনকে কি আর মগজের মতো নিয়ন্ত্রন করা যায়?একটা সময় নিশান বুঝতে পারে কোনোদিন মেঘের ঢেকে যেতে পারে গোটা আকাশ এই ভয়ে রোদকে গ্রহন না করা বোকামি। নাছোড়বান্দা ইশার ভালোবাসার জালে আটকা পড়তেই হয় তাকে। কখনো মধুর বুলি বিনিময়, কখনো মিষ্টি অভিমানের জমে উঠে ওদের প্রেম। তবুও কোথায় যেনো বারবার আটকা পড়ছিলো নিশান! ইশাকে হারাবার ভয় ওর ভিতরটা ঘুনপোকার মতো খালি করে ফেলছিলো ক্ষনে ক্ষনে। এদিকে অপশক্তিরা মেতে ছিলো নৃশংস খেলায়, অন্যদিকে নিশানের অপরাধবোধ ওকে দিনকে দিন কাবু করতে লাগলো। নিজের আসল পরিচয় লুকানোর অপরাধবোধ, ইশাকে ঠকানোর অপরাধবোধ, ওর বিশ্বাস নিয়ে খেলার অপরাধবোধ। ইশাকে কি বুঝবে নিশান ওকে ছাড়া অচল? সে কি পারবে ওর জন্য একটু একটু করে বদলাতে থাকা নিশানকে ক্ষমা করে দিয়ে ওর মেঘলা আকাশের রোদ্দুর হতে?
ফারজানা ইয়াসমিন
নাম:- ফারজানা ইয়াসমিন ভূঁইয়া ছদ্মনাম:- মায়াবতী শৈলী। জন্ম:- ১৯৯৮ সালের ১৫ই এপ্রিল। জন্মস্থান:-মতলব(উঃ), চাঁদপুর। বাবার নাম:- মো. মোবারক হোসাইন। মায়ের নাম:- নাজনীন বেগম। স্বামীর নাম:- মো. আব্দুল্লাহ্ আল মাসউদ ভূঁইয়া। আমি পরিবারের বড় মেয়ে।ছোট এক বোন স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আর এক ভাই কোরআন হিফয করে এখন মাদরাসায় শিক্ষা অর্জনে সময় ব্যয় করছে। ছোটবেলা থেকে গণিতের প্রতি আলাদা ঝোঁক থাকলেও ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়া আমি সাহিত্যকে যে কম ভালবাসি তাও নয়।২০২১-এ ভালোবেসে বিয়ে করি মো. আব্দুল্লাহ্ আল মাসউদ ভূঁইয়াকে। আর এভাবেই চাঁদপুরের মেয়ে হয়ে যায় নরসিংদীর বউ। এতোদিন বাবার স্নেহের ছায়াতলে বড় হওয়া আমি স্বামীর সান্নিধ্যে থেকে বাকি জীবনটা পাড়ি দিতে চাই আমার দুই পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যকে নিয়ে। অবসর সময় কাটে লেখিলিখি আর নতুন নতুন ধরনের রান্না শেখার ঝোঁক নিয়ে। যতদূর মনে করতে পারি পঞ্চম শ্রেনীতে অধ্যয়নকালে সর্বপ্রথম আমি নামবিহীন একটা ছোটগল্প লিখার মধ্য দিয়ে লেখালিখি শুরু করি। এরপর মাঝে মাঝেই টুকটাক অনেক কিছুই লিখেছি যা কখনো কোনো ছেঁড়া পৃষ্ঠায়, আবার কখনো স্থান পেয়েছে ডায়েরীর পাতায়। এভাবেই পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। তারপর ২০১৭ সালের আগস্টে প্রথম ফেসবুকে উপন্যাস লিখা শুরু করি। প্রথম উপন্যাস ছিলো 'নজরবন্দি'। একে একে- ভালোবাসার প্রহর, প্রেমপ্রহরী, অতঃপর গল্পটি আমাদের হলো, অন্যধরা, শুধু তুমি, হাতটা রেখো হাতে, নতুন আলোর খোঁজে-সহ একাধিক শিরোনামে উপন্যাস লিখি। মাঝে 'ঠুনকো আবেগ','স্মৃতি' ও 'পরী' শিরোনামে তিনটি ছোট গল্পও লিখলেও এসবই ছিলো অন্যলাইন ভিত্তিক। 'মেঘলা আকাশে রোদ্দুর' দিয়েই আমার বইয়ের জগতে যাত্রা শুরু হলো। ইহকাল ও পরকালের সকল সফলতার জন্য আমি সকলের দোয়াপ্রার্থী।