‘কিন্তু আমার বাবার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া স্পেস ডিফেন্স থেকে ইন্টারপ্ল্যানেটারি স্পেসে কোন ওয়ারমেশিন পাঠানোর কথা না, নিওর কথার পিঠেই তীক্ষ্ণ স্বরে বলল লিনা।
উইলিয়ামের দিকে তাকালো নিও। কিছুটা অসহায় লাগছে। সবচেয়ে ভাল হত লিনা যদি এতদিন হাসপাতালে না থেকে তাদের সাথে থেকে বিষয়টার মুখোমুখি হত। এরপর তাকালো লিনার দিকে, ‘জোনাথন পার্কারের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে’, সাহসটা করেই ফেলল বলে ফেলার। কারণ আজ হোক কাল হোক সেটা জানতে হবে তাকে।
কথাটা শুনে একদম ঝিম মেরে বসে রইল লিনা। প্রফেসর স্মিথের হাতে জিম্মি দশা থেকে তার বাবাকে উদ্ধার করেছে গ্রিনিট। সেই গ্রিনিটকে এখন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সে কতটা নিরাপদ। কতটা আজ্ঞাবহ। আর সেটার দায়িত্বে আছে তার বাবা। মনে হচ্ছে তার চেনাজানা গোছানো পৃথিবীটা এক মুহূর্তের মধ্যে এলোমেলো করে দিয়ে গেল কেউ।