"ময়ূরকণ্ঠী" বইটির সূচিপত্র:
গুরুদেব ১১ : গাইড ৯৬
বড় দিন ১৬ আচার্য তুচ্চি ৯৮
পাণ্ডা ১৯ নিশীথদা ১০১
গীতা-রহস্য ২২ পরিমল রায় ১০৪
বন ২৫ মপাস ১০৭
‘নেভা’র রাধা ২৭ রামমােহন রায় ১০৯
বর্বর জর্মন ৩০ বিশ্বভারতী ১১২
ফরাসি-জর্মন ৩৫ নাগা ১১৫
‘এ তাে মেয়ে মেয়ে নয়' ৩৭ হিন্দু-মুসলমান-কোড বিল ১১৭
স্বয়ংবর চক্র ৩৯ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২২
ইঙ্গ-ভারতীয় কথােপকথন ৪২ ‘জিদ-ওয়াইড়’ ১২৫
শিক্ষা-সংস্কার ৪৫ এষাস্য পরমাগতি ১২৮
কোনাে গুণ নেই তার ৪৮ দি ইয়ােরােপ! ১৩১
কালাে মেয়ে ৫৪
ঋতালী ৫৭ শমীম ১৩৩
রবীন্দ্র-সংগীত ও ইয়ােরােপীয় সুরধারা ৬০
দিনেন্দ্রনাথ ১৩৬
শ্ৰমণ রিয়ােকোয়ান ৬৩
ভারতীয় নৃত্য ১৩৯ প্রব্রজ্যা ৭১
উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়— কিংবদন্তিচয়ন ৭৯
নির্বাসিতের আত্মকথা ১৪৫
ফুটবল ৮৭
জয়হে ভারতভাগ্যবিধাতা ১৫২
বেমক্কা ৯০
ইলুপ্ত ১৫৬
আমরা হাসি কেন? ৯৩
নয়রাট ১৫৮
সৈয়দ মুজতবা আলী
সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ সালে, সিলেটের করিমগঞ্জে। পিতা খান বাহাদুর সৈয়দ সিকান্দার আলী। শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতক ১৯২৬-এ। এরপর আফগানিস্তানে কাবুলের শিক্ষাদপ্তরে ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় অধ্যাপক হিশেবে যােগ দেন। দুবছর পরে স্কলারশিপ নিয়ে যান জার্মানির বার্লিন ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ে, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৩২ সালে। ইউরােপ, এশিয়া ও আফ্রিকার নানা দেশে কর্মসূত্রে সঞ্চয় করেন বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ১৯৩৪-৩৫ সালে পড়েন কায়রাের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর বরােদায়। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপনায় যােগ দেন। দেশ বিভাগের পরে চলে আসেন জন্মভূমি তকালীন। পূর্ব-পাকিস্তানে ১৯৪৭ সালেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সপক্ষে বক্তৃতা করেন সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে। ১৯৪৯-এ অধ্যক্ষ হিসেবে যােগ দেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজে। এখানে থাকাকালীন বাংলাভাষার সমর্থনে লেখেন পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা' শীর্ষক প্রবন্ধ। সরকার কৈফিয়ত তলব করলে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ফিরে যান ভারতে। স্বল্পসময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি চাকরি শেষে যােগ দেন আকাশবাণীর উচ্চপদে, পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর ইসলামি সংস্কৃতির প্রধান অধ্যাপক হিসেবে। সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন বহুভাষাবিদ। ফরাসি, জার্মান, ইটালিয়ান ইত্যাদি ইউরােপীয় ভাষা ও আরবি, ফারসি, উর্দু, হিন্দি, সংস্কৃত, গুজরাটি, মারাঠি ইত্যাদি প্রাচ্য ও ভারতীয় সহ মােট পনেরােটি ভাষা জানতেন তিনি। বহু ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা রসরচনায় মৌলিক অবদানের জন্য অবিস্মরণীয়। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ‘দেশে বিদেশে’, ‘শবৃনম’, ‘ময়ূরকণ্ঠী’, ‘হিটলার’, ‘চাচা কাহিনী', ‘ধূপছায়া’, ‘জলে ডাঙায়’, ‘মুসাফির’, ‘পঞ্চতন্ত্র, ‘অবিশ্বাস্য’, ‘ভবঘুরে ও অন্যান্য’, ‘টুনিমেম', ইত্যাদি। ১৯৪৯-এ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নরসিংহদাস সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত হন। বাংলাদেশে ফেরেন ১৯৭২-এ ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪-এ জীবনাবসান বাংলাদেশেই। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিশেবে পান একুশে পদক ২০০৫ (মরণােত্তর)।