ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ “........ নৌকা থেকে নেমেই ক্রলিং করে ব্রিজের কাছে গিয়ে ৭ রাজাকারকে আত্মসমর্পণ করাই। এবং খুব দ্রুত ব্রিজের উত্তর পাশের গার্ডারের গা ঘেঁষে ৪/৫ ফিট গর্ত খুঁড়ে এক্সপ্লোসিভ ঢেলে দিয়ে মাটির চাপা দিয়ে ডেটোনেটর সেট করা হয়। এ কাজের প্রায় দু’ঘন্টা সময় লেগে যায়।..... এর মাঝে অপর গ্রুপের ৪/১০ জন ব্রিজের দক্ষিণ পাশে হেভি অ্যান্টি ট্যাংক মাইন রেললাইনের দুই দিকে ফিট করে দ্রুত রেল স্টেশনে পৌছে ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট লাঞ্চারসহ প্রায় ২/৩ মাইল এলাকা প্রকম্পিত হয়। কিন্তু বিষ্ফোরণের শব্দ ছিল খুবই কম, যার জন্য আত্রাই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ঘটনাটি আঁচ করতে পারেনি। পাক-আর্মি বোঝাই ৬টি বগিযুক্ত ট্রেন এগিয়ে আসছে। রাতের ঠাণ্ডা বাতাসেও আমরা ঘামছিলাম। হঠাৎ করেই ঘটে গেল ঘটনা। চোখের নিমিষে ভাঙা ব্রিজের ওপর ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি ওঠার সাথে সাথে আলোর ঝলকানি দিয়ে থাদের অথৈই পানিতে পড়ে ডুবে গেল।প্রায় সাড়ে তিনশত পাক সেনার সলিল সমাধি হয়ে গেল।” সূচিপত্র *মুখবন্ধ প্রথম অধ্যায় *আত্রাইয়ের কৃষক আন্দোলন দ্বিতীয় অধ্যায় * মুক্তিযুদ্ধ তৃতীয় অধ্যায় * নকশাল আন্দোলন ও দুই পতাকা