ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ অমাবস্যার সেই রাতে গোবিন্দপুরে আর পৌঁছতে হয়নি পুঁটেকে। গোবিন্দপুরের লাগোয়া ময়নার মাঠে ত্রেমোহনের ফৌজ ঘিরে ফেলল তাদের। একটা খণ্ডযুদ্ধ হয়েছিল বটে, কিন্তু সেটা তেমন কিছু নয়। পুঁটকে ধরে আনা হল নবীগঞ্জেক, ত্রেমোহনের দরবারে। পুঁটে সর্দার হাতজোড় করে বলল, “রাজামশাই, আমার বাপ আর পিতামহ আপনার বাপ আর পিতামহের ফৌজে না এসে বেশি লাভের আশায় ডাকাতিতে নাম লেখাই। দোহাই মহারাজ, সাহেবদের হাতে দেবেন না, ওদের ওপর আমার বড় রাগ। যা শাস্তি হয় আপনিই দিন, গর্দান যায় তাও ভাল........
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর । শৈশব কেটেছে নানা জায়গায় । পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম । শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গােড়ায় কুচবিহার । মিশনারি স্কুল ও বাের্ডিং-এর জীবন । ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ | কলকাতার কলেজ থেকে বি এ । স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু | এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা । আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প— দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপােকা’ । প্রথম কিশাের উপন্যাস—‘মনােজদের অদ্ভুত বাড়ি। কিশাের সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।