মননশক্তির বিকাশ নানাভাবে ঘটে। বিচারপতি রাব্বানীর ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছে ব্যক্তিগত অনুশীলনের মাধ্যমে। সে অনুশীলনের যোগান দিয়েছে আইনজীবী হিসেবে ন্যায়বিচার আদায়ে তাঁর দৃঢ়তা এবং সে দৃঢ়তাই বিচারপতি হিসেবে রায় প্রদানে তাঁকে করেছে সাহসী, যার কিছু বিবরণ স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি বইটিতে দিয়েছেন। মুখবন্ধটিও গতানুগতিক নয়। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বিচারপতি রাব্বানী যেমন বিচার-ব্যবস্থার দুর্গতি নির্দিষ্ট করেছেন, তেমনি বিচার-ব্যবস্থাকে গণমুখী করার রূপরেখাও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সুখপাঠ্য এমন বিষয়বস্তু, যা বাংলাসাহিত্যে এখন পর্যন্ত বিরল।
মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী
জন্ম ১৯৩৭। আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬০ সালে এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে ২০০২ সালে অবসর নেন। মুসলিম ব্যক্তিক আইনের বেশ কিছু সময়োপযোগী ব্যাখ্যা এসেছে তাঁর দেয়া কয়েকটি রায়ে। ফতোয়া-সংক্রান্ত তাঁর দেয়া রায়টি জনস্বার্থে অনেক বড় অর্জন ধরা হয়। রায়টিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত দেন যে, আদালত ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুসলিম আইনের ব্যাখ্যা কিংবা সিদ্ধান্ত যা ফতোয়া নামে পরিচিত দেয়ার অধিকারী নন।