“পিদিমের আলো” বইয়ের ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কথা: কুসুমকুমারীকে ভালবেসেও বিয়ে করতে না। পেরে হরিদাস আজীবন অকৃতদার ছিলেন। তবু তার এক সন্তান জন্মেছিল মৈথিলী ব্ৰাহ্মণ কন্যা পুষ্পর গর্ভে—হরিপ্রিয়। কুসুমকুমারীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিবনাথের । তাদের কন্যা বন্দন । প্রেমের স্রোত প্রবাহিত হয়ে এসেছে দ্বিতীয় প্রজন্মে। কিন্তু জীবনের যাত্রাপথ সতত অনির্দিষ্ট । তাই হরিপ্রিয় ও বন্দনার মিলনলগ্ন অধরা থেকে যায় । কিন্তু কেন ? ঠিক এমনই, সিনেমা ও যাত্রার নাম করা অভিনেতা নবীনকুমার দাপিয়ে বেড়িয়ে কোথাও স্থিতু হতে চায়। বহুগমন তাকে ক্লান্ত করে তোলে। অতি সাধারণ মেয়ে অলকার মধ্যে হঠাৎ সে আবিষ্কার করে আশ্রয় ও আশ্বাসের দ্বীপভূমি। তার মনে হয়, অলকাই সেই আলো, যার জন্যে সে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। সত্যিই কি তাই ? দুটি মিতায়তন কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই মরমী উপন্যাস।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণকারী শীর্ষেন্দু ১৯৫৯ সালে দেশ পত্রিকায় তার প্রথম গল্প *জলতরঙ্গ* প্রকাশ করেন। সাত বছর পর একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তার প্রথম উপন্যাস *ঘুণ পোকা* প্রকাশিত হয়। শিশুদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস ছিল *মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি*, এবং তার সৃষ্ট অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র হলো শবর দাশগুপ্ত।