“পিদিমের আলো” বইয়ের ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কথা: কুসুমকুমারীকে ভালবেসেও বিয়ে করতে না। পেরে হরিদাস আজীবন অকৃতদার ছিলেন। তবু তার এক সন্তান জন্মেছিল মৈথিলী ব্ৰাহ্মণ কন্যা পুষ্পর গর্ভে—হরিপ্রিয়। কুসুমকুমারীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিবনাথের । তাদের কন্যা বন্দন । প্রেমের স্রোত প্রবাহিত হয়ে এসেছে দ্বিতীয় প্রজন্মে। কিন্তু জীবনের যাত্রাপথ সতত অনির্দিষ্ট । তাই হরিপ্রিয় ও বন্দনার মিলনলগ্ন অধরা থেকে যায় । কিন্তু কেন ? ঠিক এমনই, সিনেমা ও যাত্রার নাম করা অভিনেতা নবীনকুমার দাপিয়ে বেড়িয়ে কোথাও স্থিতু হতে চায়। বহুগমন তাকে ক্লান্ত করে তোলে। অতি সাধারণ মেয়ে অলকার মধ্যে হঠাৎ সে আবিষ্কার করে আশ্রয় ও আশ্বাসের দ্বীপভূমি। তার মনে হয়, অলকাই সেই আলো, যার জন্যে সে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। সত্যিই কি তাই ? দুটি মিতায়তন কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই মরমী উপন্যাস।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর । শৈশব কেটেছে নানা জায়গায় । পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম । শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গােড়ায় কুচবিহার । মিশনারি স্কুল ও বাের্ডিং-এর জীবন । ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ | কলকাতার কলেজ থেকে বি এ । স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু | এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা । আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প— দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপােকা’ । প্রথম কিশাের উপন্যাস—‘মনােজদের অদ্ভুত বাড়ি। কিশাের সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।