‘পিতার হুকুম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রের রন্ধ্রে পিতৃতান্ত্রিকতা। পিতৃ-হুকুমই সবকিছুর চালিকাশক্তি। ফলে সমাজের অর্ধাংশ যে নারী, সেই নারীর মর্যাদা পুরুষতান্ত্রিকতার নিয়ম ও হুকুমের নিগড়ে দলিত। তার হাত-পা বাঁধা সেই পুরুষসৃষ্ট হুকুম ও হুকুমতের বেড়াজালে। এই প্রাচীন পিতৃতান্ত্রিকতার ধারাবাহিকতা শুধু আমাদের সমাজেই নয়, বিশ্বপরিসরজুড়েও এখনো অক্ষুণ²। মনস্বী প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পিতার হুকুমগ্রন্থে সেই পিতৃতান্ত্রিকতার অবলোপের কথা বলেছেন। বলেছেন পুরুষ ও নারীর সাম্যের কথা। সেই সাম্যের পথনির্দেশও করেছেন তিনি যুক্তির জাল বিস্তার করে তাঁর অনুপম স্বচ্ছন্দ ভাষাভঙ্গির সাহাঘ্যে। এ বইয়ের পাঠ মানেই অন্ধকার মনে আলোকবর্তিকার প্রজ্বালন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ জুন ১৯৩৬, বাড়ৈখালী, বিক্রমপুর) একজন প্রখ্যাত অধ্যাপক ও সাহিত্যিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক সম্মান (১৯৫৫) ও স্নাতকোত্তর (১৯৫৬) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (১৯৬৮) সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রফেসর এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ-গবেষণা, ছোটগল্প, উপন্যাস ও অনুবাদ, যেমন "অন্বৈষণ" (১৯৬৪), "শেষ নেই" (২০০৪), "এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব" (১৯৭২) এবং "হোমারের ওডেসি" (১৯৯০)। তিনি লেখক সংঘ পুরস্কার (১৯৭৫), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৬), একুশে পদক (১৯৯৬) সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।