ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল অনেক আগে, যখন পরিভদ্র কোডেক্স কুয়েটজালকোয়াটল তাঁর হাতে পেয়েছিলেন। অ্যাজটেকদের সৃষ্টিতত্ত্বের দেবতা নিজে এই কোডেক্স লিখেছিলেন। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর পৃথিবীর মানুষেরা এসব কথা জানুক। অথচ এই কোডেক্সটি অভিশপ্ত! যে দু’জন ব্যক্তি এটি প্রকাশের চেষ্টা করেছিলেন, দু’জনই মারা গেলেন; এমনকি পরিভদ্রও। কী ছিল এই কোডেক্সে? কুয়েটজালকোয়াটলের সাথে কীভাবে গ্রিক পুরাণের অবিসংবাদিত চরিত্র প্রমিথিউসের দেখা হয়েছিল? জিউস কি সত্যিই চেয়েছিলেন ট্রয়ের যুদ্ধে গ্রিক বাহিনি জয়লাভ করুক? না কি এই যুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল সেই ‘কেউ একজনে’র ইশারায়, ব্রহ্মা যার কথা জিউস, প্রমিথিউস এবং কুয়েটজালকোয়াটলকে বলেছিলেন? সেই ‘কেউ একজন’ কে? ব্রহ্মা কি তাঁকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছিলেন? কোডেক্স কুয়েটজালকোয়াটলের শেষ অংশের অনুবাদ পরিভদ্র কেনো নিয়াজকে দেননি? গাছের বাঁকলে রহস্যময় ভাষায় কি লেখা ছিল? কেনো নিয়াজকে সব রহস্যের সমাধানের জন্য মেক্সিকোতে যেতে হবে? সবকিছু মিলিয়ে ‘পুরাণের সমান্তরালে’ হচ্ছে তিনটি বিখ্যাত পুরাণকে একসাথে মিশিয়ে জানা গল্পকে নতুন করে সাজিয়ে সেই ‘কেউ একজন’কে খোঁজার এক ঐকান্তিক প্রয়াস।