অতল রাতের শিরা থেকে তুলে আনি পাখি ও পাপ। পাপ সে এক
হিরণ¥য় অন্ধকারের চিরচেনা ডাকনাম। অন্ধকারের একশত তিনটা
নাম, পাখি তার মধ্যবর্তী। একটি গান বেজে বেজে ডুবে যায়
কণ্ঠের ভেতর, একটি সুর কেঁপে কেঁপে ডুবে যায় সেতারের নির্লিপ্ত
তারে।
কারও সবুজ আঙুলে ঝুলে আছে মহাকাল। ঘিরে আসে আতপ্ত
ছায়া। এই তো সেই দূর বনের প্রত্যাখ্যাত করুণ। কেউ বলে
দূরবর্তী তীরে আছে নকশার আকর। ভুল জানি। জানি বিলম্বিত
সন্যাস। বাগানগুলি জংলা হয়ে ওঠে, এলোমেলো বাতাসের কাঁধে
পা রেখে দোলে, আর জংলার ঝাড়ে পুরুষপাখি নাচে।
যে-বাদক অবিশ্রাম বাজায়, যে-বাদক জন্মা›ধ, তার নখের
আয়নায় জেগে থাকে কোনো দ্বীপদেশের আনোখা চিত্ররেখ।
আমরা কাদার ভাষা জানি না। যে-কাদা মাছের গায়ে আঁশ হয়ে
লেগে থাকে, তা রোদের অক্ষরে খরার খবর বলে না, কাদাখোঁচা
পাখিও জানে তা।
সন্যাসেরও প্রকার থাকে। যেমন কাদা ও মাছের পরস্পর
সন্যাস, একজন অন্য জনের সঙ্গে একা। একজন জড়ের জীবন,
অন্য সে অবাধ সন্তরণ। যেমন ডোডোপাখির চোখের ভেতর
দিনরাত্রি সারাক্ষণ জেগে থাকা ভয়াল সন্যাস। সাঁওতাল পরগনায়
মুছে যায় বিলাস আর বিদ্যুতের রাহিত্য।
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
Overall Ratings (0)