ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কিশোর বয়সে যমুনার তীরে গান গেয়েই পেটের ভাত জুটত হাসেন আলীর। নদীর ভাঙনে ভিটে মাটি গেল। সালামি দিয়ে গান শোনার মানুষও আর পাওয়া গেল না। ভাতের খোঁজে জেলা শহরে রিক্সার প্যাডেলে ঘামে ভেজা শরীরে গান কণ্ঠ ছাড়লেও সুর মেলে না গলায়। সংসার বাড়তে থঅকলে ক্ষুধাও বাড়ে, হাসেন আলী আরও বড় শহরে আসে। শহরটির নাম ঢাকা। এ রাজপথে অজস্র মানুষ। প্রতিদিন গাড়ি চালকরা নির্বিকার ভাবে গাড়ি তুলে কত মানুষের গায়ের উপরে। কোথায় যে কিভাবে কে মরে , তার খবরও পাওয়া যায় না। এই রাজপথে হাসেন আলী ছোট ছিলেটিও মারা গেল গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে। এবার হাসেন আলীর পাশে অনেকে। ঠেলাওয়ালা, ঝাড়ুদার, চিকিৎসক,পুলিশ, সাংবাদিক থেকে শুরু করে এমপি পর্যন্ত। সবাই কেন যেন তাকে কষ্ট দেয়, সে বুঝে না। গাড়ির স্টিয়ারিং এ হাত রাখার পর হাসান আলীর বড় ছেলে আক্কাস আলীও যেন বাপকে আর চেনে না। সব দেখে শুনে হাসেন আলী কিশোর বেলার চিরচেনা সুর ভুলে নতুন সুরে শহুরে হাওয়ায় শুরু করে গুরু ভজনের গান....‘গুরু আন্ধারে বাস করে....’ ‘জমের আন্ধার টাইন্যা নিল...গুরু বসায় মেলা,’। চেনা রাজপথের অচেনা গল্প ‘রাজপথের মহাকাব্য’।