প্রথম আলো-ব্র্যাক ব্যাংক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী একটি সেমিনারের আটটি অধিবেশনে পঠিত প্রবন্ধ, আলোচনা ও সভাপতির ভাষণ এ সংকলনে ধরা থাকল। জন্মলাভের দেড়শ বছর পর এবং তিরোধানের সত্তর বছর পর রবীন্দ্রনাথ আমাদের জন্য কতটা প্রাসঙ্গিক, তার আলোচনা ছিল এই সেমিনারের একটা উদ্দেশ্য। রবীন্দ্রনাথের মতো সৃষ্টিশীল ও মননশীল প্রতিভা-যাঁর ভাবনাচিন্তা ও প্রকাশভঙ্গির ক্রমাগত বদল হয়েছে-তাঁর সম্পর্কে সবাই একমত হবেন, এমন প্রত্যাশার কোনো কারণ নেই। নানা দিক থেকেই তাঁকে অবলোকন করা দরকার। যদি কেউ পূর্বধারণার বশবর্তী হয়ে কিছু বলে থাকেন, কিছু একটা প্রমাণের জন্য তাঁর উদাহরণ টানেন, তাতেও ক্ষোভের কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সহযাত্রী থাকবেন আরও বহুকাল-তাঁকে জানতে হবে ধৈর্য ধরে। এই আলোচনাচক্র থেকে এ কথাই বিশেষভাবে উঠে এসেছে।
আনিসুজ্জামান
আনিসুজ্জামান (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ - ১৪ মে ২০২০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯), এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য’, ‘আমার একাত্তর’, এবং ’সোশ্যাল এস্পেক্টস অব এন্ডোজেনাস ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিয়েটিভিটি’। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে একুশে পদক, ২০১৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, এবং ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।