হাশেম যখন বারন্দায় বসে রাতের স্বপ্নে দেখা কথাগুলো ভাবছিল, ঠিক তখনি বাবুমিয়ার বাড়ির কথা সামনে চলে আসে। কত রক্তই না ঝরেছে এই বাড়ির জন্য। এর সঠিক ইতিহাস আমাকে জানতেই হবে। যে ঘটনা আড়ালে থাকে সেই ঘটনা জানার জন্য গোয়েন্দাগিরির খুব প্রয়োজন। সেই প্রশিক্ষণতো পায়নি হাশেম। কল্পনা জগতে হারিয়ে যায়। দেখে, সামনে এসে দাঁড়ায় সিজান সুজন ও কাশেম। সিজান ও সুজনের কথা ভুলতে পারলেও ভুলতে পারেনি কাশেমের কথা। ওদের তো এর আগে দেখেনি তা হলে কি করে ওদের দেখছে! তা হলে কি গোয়েন্দাগিরি হাশেমের মাথায় ভর করেছে। এমন সময় ময়না পাখির কন্ঠ।
খুন। খুন হয়েছে। খুনের কথা
মালেক মাহমুদ
শিশুসাহিত্যে অনন্য নাম মালেক মাহমুদ। তার লেখায় ফুটে ওঠে দেশের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা, তিনি অতি সহজে শিশু-কিশােরদের মন ভােলাতে পারেন। নাচাতে পারেন, হাসাতে পারেন। শিশুদের নিয়ে যেতে পারেন স্বপ্ন ও কল্পনার জগতে। তার লেখায় ফুটে ওঠে দেশমাতৃকার কথা। মাটি ও মানুষের কথা। তিনি লিখে চলছেন আপন মনে শিশুদের জন্য। জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ছােটদের পাতায় নিয়মিত। প্রকাশ হচ্ছে তার গল্প ও ছড়া-কবিতা।
তিনি বােঝেন শিশু-কিশােরদের মনের ভাষা। তাই তাদের উপযােগী করে রচনা। করেন গল্প। নতুন রঙে ফোটে উঠে। ছড়া-কবিতা। এ সময়ের হাতে গােনা যে। কজন ভালাে লিখছেন মালেক মাহমুদ তাদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি শিশু কিশােরদের জন্য ছড়া-কবিতার বই লিখেছেন ৩৩টি। গল্পের বই ১৮টি। সম্পাদনা বই ৩টি। সবুজ প্রজাপতি লাল ফড়িং' মালেক মাহমুদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিশাের উপযােগী গল্পগ্রন্থ। সমাজ বাস্তবতায় তাঁর এ গল্পগ্রন্থ কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। মালেক মাহমুদের জন্ম-৫ এপ্রিল ১৯৬৯ কন্যা- নাজয়ন্নাহার রত্না। স্ত্রী-নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বাংলা একাডেমির সদস্য। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার।